দিল্লী, ৩০শে জুলাই, ২০১৩ খ্রিঃ
প্রথম স্ত্রীর অসুস্থতার দরুণ রজব আলী আরেকটি বিয়ে করেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রী ইদুল আরা। ধর্মপ্রাণ এবং খুবই সাধারণ একজন গৃহবধূ তিনি। তারা কোনও দিন ভাবেননি তাদের সন্তানদের কেউ আজ বিশ্বব্যাপী আলোচিত বা সমালোচিত, নন্দিত অথবা বিতর্কিত যাই বলি- জগদ্বিখ্যাত হতে পারবে। রজব আলী একজন চিকিৎসক। পাশাপাশি এলাকার মোড়ে তার একটা ঔষধের ফার্মেসি ছিল। টিনের তৈরি। সাংসারিক দিনকাল তার খুব ভালোই কাটছিল। থাকতেন ময়মনসিংহ জেলা শহরে। এমনই সময় ১৯৬২ সালের ২৫শে আগষ্ট তার দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রথম সন্তান একটি কন্যা জন্মগ্রহণ করে। চার ভাই-বোনের মাঝে তিনি তৃতীয়। তারা এই মেয়েটির নাম রাখেন "নাসরিন জাহান তসলিমা"।
কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠগ্রহণ সময়েই মেয়েটি কবিতার প্রতি প্রবলভাবে ঝুঁকে গেল। অবসর সময়ে সে কবিতার চর্চ্চা করত। কোনও এক বাদলের রাতে তার শয়ন কক্ষের গবাক্ষের ধারে পাতা খাটে শুয়ে শুয়ে টেবিল বাতির আলোয় খুব ছোট্ট একটা কবিতা লিখেছিল। কবিতার নিচে লিখেছিল- "তসলিমা নাসরিন" (আমরা অনেকেই তাঁকে "তাসলিমা" বলে সম্বোধন করে থাকি, সেটা ভুল। কারণ, তাঁর নামের তসলিমা'য় "া-কার" নেই।)। এরপর থেকে সেই মেয়েটি তসলিমা নাসরিন হিসেবেই বেড়ে ওঠে।
১৯৭৬ সাল। সেই ছোট্ট খুকিটি এখন আর আগের মত ছোট নেই। সে অনেক বড় হয়েছে। চতুর্দশী কিশোরী। তিনি এস.এস.সি পরীক্ষায় পাস করেছেন। ময়মনসিং রেসিডেন্সিয়াল স্কুল থেকে। এর দু’বছর পর ১৯৭৮ সালে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হন একই জেলার আনন্দ মোহন কলেজ থেকে। ভর্তি হন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে। এসময় তিনি প্রচুর কবিতা লিখেন। কবি হিসেবে তাঁর পরিচিতি ঘটে। তখন ময়মনসিংহের কবি-সাহিত্যিকদের সমন্বয়ে তিনি একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন, যার নাম ছিল “সকাল কবিতা পরিষদ”। এই সংগঠনের সভাপতি পদে তিনিই ছিলেন। এর সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল তাঁরই এক সহপাঠি, এলাকার ছোট ভাই সাংবাদিক ফরিদ খান (বর্তমানে “সাপ্তাহিক আজকের পৃথিবী”র প্রধান সম্পাদক)। ফরিদ খানকে তিনি খুবই স্নেহের চোখে দেখতেন।
কিন্তু সবার জীবনে যেমন প্রেম আসে, তসলিমা নাসরিনও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। অষ্টাদশ পেরোবার পর তাঁর ভেতর প্রেমের শেকড় বিস্তার করে। কিন্তু সকলের মতো তিনি প্রেমে পড়েন নি। বরং প্রেম করেন। কবি রুদ্র মহম্মদ শহীদুল্লা’র সাথে। পরিবারের কেউ জানতো না। প্রায় এক বছরের মাথায় এই প্রেম তাঁকে জীবনের প্রথম উপহার দেয়। তিনি একটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করতে সক্ষম হন। ১৯৮১ সালে আগামী প্রকাশনী থেকে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ “শিকড়ে বিপুল ক্ষুধা” প্রকাশ হয়। তাঁর কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল ‘প্রেম ও যৌনতা’। ১৯৮২ সালে তিনি তাদের এই প্রেমকে প্রণয়ে পরিণত করেন। পরিবার, পাড়া-প্রতিবেশী সকলের অগোচরে বিয়ে করেন তারা।
কিন্তু তিনি যখন এম বি বি এস সম্পন্ন করে একটি সরকারী হাসপাতালে চাকুরী গ্রহণ করেন, তখন তাদের সংসারে একের পর এক সমস্যার সৃষ্টি হতে শুরু করল। চার বছর পর সংসার করার পর ১৯৮৬ সালে তিনি এর ইতি টানেন। এর কিছুদিন পর তিনি বিয়ে করেন সাংবাদিক ও একটি দৈনিকের সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান’কে। তাঁর ভবিষ্যতের দিনগুলি যেন তিনি বিব্যি দেখতে পাচ্ছিলেন। নিজের ভবিষ্যৎ যেন পড়ে ফেলেছিলেন সহজে- এমনই কৌতুহল থেকে ১৯৮৯ সালে তিনি আরেকটা কবিতার বই প্রকাশ করেন। “নির্বাসিত বাহিরে অন্তরে”র কথাই বলছি। এই বইটি প্রকাশের এক বছর পর ১৯৯০ সালে পিঠাপিঠি তাঁর দুইটি বই প্রকাশ হয়। কবিতার বই “আমার কিছু যায় আসেনা” এবং প্রবন্ধ সংকলন বিষয়ক “নির্বাচিত কলাম”। ১৯৯১ সালে “অতলে অন্তরীণ” নামে আরেকটি কাব্যগ্রন্থ বের করেন তিনি। পাশাপাশি আরও একটা সংকলন বই বের করেন- যার নাম ছিল “যাবো না কেন? যাব”। এই বইটি প্রকাশের পর বেশি দিন গত হয়নি। নাইমুল ইসলাম খানের সাথে তাঁর বৈবাহিক জীবনের সমাপ্তি ঘটে। এই বছরই তিনি সাপ্তাহিক বিচিন্তা’র সম্পাদক মিনার মাহমুদ’কে বিয়ে করেন। কিন্তু তাদের এই বিয়েটা তেমন টেকসই হওয়ার আগেই ১৯৯২ সালে ভেঙ্গে যায়।
এরপর তাঁর কাছে ‘বিবাহ’ একটা ঝামেলার কাজ মনে হলো। বৈবাহিক হ-য-ব-র-ল জীবন থেকে দূরে থাকতে তিনি আর বিয়ে করেননি। ঢাকায় এসে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একজন অ্যানেসথেসিওলজিস্ট (অজ্ঞান বিশেষজ্ঞ) হিসেবে চাকুরী নেন। অবসর সময় বাঁচিয়ে লেখালেখির প্রতি ভালোভাবে মনোনিবেশ করেন। এই বছর তিনি চারটি বই প্রকাশ করেন। নিজ জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা “অপরপক্ষ” ও “শোধ” নামে দু’টি উপন্যাস বের করেন। “নষ্ট মেয়ের নষ্ট গল্প” নামে একটি সংকলন বই ও “বালিকার গোল্লাছুট” নামে আরেকটি কাব্যগ্রন্থ বের করেন। ধীরে ধীরে তিনি দেশ বরেণ্য হয়ে ওঠেন। নারীর অধিকার আদায়ে বিদ্রোহী বেশে আপোসহীনভাবে লেখালেখির জন্য তার প্রসিদ্ধি দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়ে। এই বছর তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আনন্দ প্রকাশনা গ্রুপ এর কর্তৃক প্রদত্ত “আনন্দ সাহিত্য পুরস্কার” অর্জন করেন, যা তাঁকে ১৯৯০ সালের “নির্বাচিত কলাম” এর জন্য প্রদান করা হয়। এই বছর তিনি “নাট্যসভা পুরস্কার”ও অর্জন করেন।
তবে নারীবাদী এই কবি, সাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক দিনে দিনে যেমন সনামধন্য হচ্ছিলেন, তেমনি তিনি বিতর্কিতও হতে শুরু করলেন। তাঁর প্রতিবাদী লেখাগুলো বিশেষ করে "নির্বাচিত কলামে"র খোলামেলা-যৌনময় অথচ প্রচণ্ড সাহসী লেখনীর মাধ্যমে সামাজিকভাবে নারীদের বিভিন্ন অবহেলিত চিত্র উপস্থাপন এবং ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের কঠোর সমালোচনার দরুণ তৎকালীন কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সংগঠন তাঁর উপর ক্ষিপ্ত হতে থাকে। কারণ, তসলিমা নাসরিনের পূর্বে বাংলা ভাষায় আর কেউ ইসলাম ধর্ম ও এর প্রণেতা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে সরাসরি সমালোচনা করেনি। তিনিই প্রথম। তাই দেশের বিভিন্নস্থানে তাঁর শাস্তি দাবী করে সভা-সমাবেশ করেছিল। এই যখন পরিস্থিতি। তখন ১৯৯৩ সালে তিনি "বেহুলা একা ভাসিয়েছিল ভেলা" নামে আরেকটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেন এবং তিনটি উপন্যাসও বের করেন এই বছর। উপন্যাসগুলো যেন তাঁর নিন্দুকদের ক্ষোভের আগুনে তুস মাখা ঘি ঢেলে দিল। মুসলিম নেতৃবৃন্দের একটি সংগঠন তাঁকে ধর্মীদ্রোহী নাস্তিক ঘোষণা করে। মানুষের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার অভিযোগ এনে তারা তাঁর শাস্তি (মৃত্যুদণ্ড) দাবী করে আদালতে একটা মামলা করে। সেই সাথে সভা-সমাবেশ, মিছিল তো চলছেই। তবুও তাঁর লেখনী থেমে থাকেনি। ১৯৯৪ সালে তিনি একটি কাব্যগ্রন্থ বের করেন যার নাম "আয় কষ্ট ঝেঁপে, জীবন দেবো মেপে"। এই সময় আদালত কর্তৃক তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হলে তিনি কিছু দিন বন্ধু-বান্ধবের বাসায় আত্মগোপন করে থাকেন। পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে পরবর্তীতে গ্রেফতার এড়াতে দেশত্যাগ করেন। চলে যান ফ্রান্সে। সে সময় একটা সংগঠনের কিছু কর্মী তাঁর বাবার ঔষধের দোকান ভেঙ্গে ফেলে।
এই বছর তিনি "নারীর কোন দেশ নেই" নামে একটা সংকলন বই, উপন্যাস "ভ্রমর কইও গিয়া" এবং একটা ছোট গল্প "দুঃখবতী মেয়ে" প্রকাশ করেন। যাই হোক, তিনি নির্বাসন পরবর্তী সময়গুলোতে ফ্রান্স, সুইডেন ও ভারতেই বেশিরভাগ সময় বসবাস করেছেন। তবে তিনি পশ্চিমবঙ্গে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন।
নির্বাসনের বছরে তিনি ছয়টি পুরস্কার পেয়েছেন। মুক্ত চিন্তা-ভাবনার জন্য ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট কর্তৃক শাখারভ পুরস্কার, ফরাসি সরকার প্রদত্ত মানবাধিকার পুরস্কার, ফ্রান্সের এডিক্ট অব নান্তেস পুরস্কার, সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল পেন কর্তৃক কার্ট টুকোলস্কি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ কর্তৃক হেলম্যান-হ্যামেট গ্রান্ট সম্মাননা ও নরওয়েভিত্তিক হিউম্যান-এটিস্ক ফরবান্ড কর্তৃক মানবতাবাদী পুরস্কার। এছাড়াও তিনি সহিষ্ঞুতা ও শান্তি প্রচারের জন্য ইউনেস্কো পুরস্কার, সিমোন দ্য বোভোয়া পুরস্কার, বেলজিয়াম এবং ফরাসি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারবার সাম্মানিক ডক্টরেট পেয়েছেন।
১৯৯৫ সালে তাঁর কোনও বই বের হয়নি। মূলতঃ তখন তিনি মানসিকভাবে খুব মুষড়ে পড়েছিলেন। অন্যান্য ব্যস্ততাও ছিল। তবে ১৯৯৬ সালে তিনি একটি বই-ই প্রকাশ করেন এবং এটি তাঁর নির্বাসন পরবর্তী জীবনের প্রথম বই। বইটি ছিল "নির্বাসিত নারীর কবিতা" (কাব্যগ্রন্থ)। এর প্রায় আড়াই বছর পর ১৯৯৯ সালে তিনি "আমার মেয়েবেলা" নামক একটি আত্মজীবনী লেখেন। এই বইটির জন্য তিনি ২০০০ সালে আবার আনন্দ সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছিলেন।
২০০০ সালে তিনি "জলপদ্য" নামের আরেকটি কবিতার বই প্রকাশ করেন। এর দু'বছর পর তিনি আত্মজীবনীমূলক একটি উপন্যাস লেখেন- যার নাম ছিল "ফরাসি প্রেমিক"। এই বইতে তিনি ফ্রান্সে থাকাকালীন সময়ের বর্ণনা দেন। এই বইয়ের যে বিষয়টা সবচেয়ে আলোচিত হয় তা হল, তিনি একটি ফরাসী মেয়েকে ভালোবেসেছিলেন। প্যারিসে অবস্থানকালে মেয়েটার সাথে তাঁর দৈহিক সম্পর্কও হয়েছিল। ২০০২ সালে "উতাল হাওয়া" (আত্মজীবনী) বের করেন। ২০০৩ সালে প্রকাশ করেন আরেকটি আত্মজীবনী "ক"। এই বইটি কলকাতায় "দ্বিখন্ডিত" নামে প্রকাশিত হয়েছিল।
দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ বসবাসের পর ইউরোপকে বিদায় জানাতে তসলিমা নাসরিনের কুব কষ্ট হয়েছিল (মাতৃভূমির মায়া তাঁকে সব সময় টানলেও বাংলাদেশে তিনি হয়তো আর কখনই আসতে পারবেন না)। মনের এই শূন্যতাকেই তিনি ২০০৪ সালে লেখা তাঁর "খালি খালি লাগে" কাব্যগ্রন্থে ব্যক্ত করেছেন। ২০০৪ সালে তিনি আরও একটি আত্মজীবনী লেখেন যেটা "সেই সব অন্ধকার" নামে প্রকাশ পেয়েছে।
কলকাতায় অবস্থানকালে ২০০৫ সালে "কিছুক্ষণ থাকো" নামে একটি কবিতার বই প্রকাশ করেন। কিন্তু প্রতিবেশী দেশে বসবাস করেও তিনি নিজ দেশের মাটিতে পা রাখতে পারছিলেন না। জন্মভূমির স্পর্শ নিতে পারছিলেন না। যেখানে তাঁর শৈশব-কৈশর-যৌবন কেটেছিল। যেখানে মিশেছিল তাঁর বত্রিশ বছরের প্রতিটি ক্ষণ। খুব কাছে থেকেও যেন তা যে যোজন যোজন দূরে। পাঠক! এই অনুভূতি পৃথিবীর কোনও ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। পঞ্চেন্দ্রীয়ের বাইরে আরেকটা ইন্দ্রীয় থাকে। সেই যন্ত্র (অন্তর) দিয়ে যদি একটু অনুভব করার চেষ্টা করেন, তাহলে হয়তো কিছুটা অনুমান করতে পারবেন। সেই যাতনার কথাগুলোই ২০০৬ সালে তসলিমা নাসরিন প্রকাশ করেছিলেন, যা "আমি ভালো নেই, তুমি ভালো থেকো প্রিয় দেশ" নামে বের হয়। এই বইটিতে বহু ঘাত-প্রতিঘাত পেরুনো অকুতোভয় একজন রমণীর আবেগী রূপ ফুটে ওঠেছে।
২০০৭ সালে তিনি একটি কাব্যগ্রন্থ বের করেন, যা "ভালোবাসো? ছাই বাসো!" নামে পাওয়া যায়। এই বছরে তিনি একটা সংকলন বই "নারীর কোন দেশ নেই" ও একটা ছোট গল্প "মিনু" প্রকাশ করেন। কিন্তু এই বইগুলোর কিছু কিছু লেখা ভারতের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ ও ধর্মীয় নেতাদের অসন্তুষ্টির কারণ হয় এবং তারা তসলিমা নাসরিনের উপর ক্ষেপে যান। কেউ কেউ তাঁকে হত্যার হুমকিও প্রদান করে। এক পর্যায়ে ভারতীয় সরকারও তাঁর প্রতি ভারতে অবস্থানের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারী করে। এসময় কয়েক মাস তাঁকে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করতে হয়। পরে আবার পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে তাঁর উপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়। তখন ২০০৮ সালে তিনি দিল্লীতে ফিরে আসেন এবং দিল্লীতেই অবস্থানের সিদ্ধান্ত নেন।
২০০৯ সালে "শরম" নামে একটা উপন্যাস লেখেন তিনি। ২০১২ সালে তাঁর সপ্তম আত্মীজবনীমূলক গ্রন্থ ও এই পর্যন্ত লেখা তাঁর সর্বশেষ বই "নির্বাসন" প্রকাশ করা হয় ঢাকার একুশে বই মেলায়। কিন্তু বইটি প্রকাশের পর এপার-ওপার দু'বাংলায়ই হৈচৈ পড়ে যায়। কারণ, এই বইয়ে তিনি সুনীল গঙ্গোপ্যাধ্যায়সহ আরও অনেকের সাথে তাঁর অন্তরঙ্গ সম্পর্কের বর্ণনা দেন। এজন্য অনেকেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন। ২০১২ সালের "নির্বাসনে"র পর এই পর্যন্ত তাঁর আর কোনও বই প্রকাশিত হয়নি। তবে এরপর থেকে তিনি অনলাইনে নিয়মিত লেখালেখি করেন। অচিরেই তাঁর একটা বই প্রকাশ হতে পারে বলে আশা করছি।
তসলিমা নাসরিন...
আপনার জন্মদিন শুভ হোক। শুভ হোক আপনার ভবিষ্যৎ জীবনের প্রতিটি দিন। আপনার অতি পরিচিত কেউ একজনের পক্ষ থেকে আপনার জন্য শুভ কামনা প্রকাশ করছি...
কিছু লিংকঃ
○ তসলিমা নাসরিনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
○ তাঁর টুইটার– taslimanasreen
○ গুগল ব্লগস্পটে তার পাঁচটি ব্লগ পেয়েছি। তবে তিনি যেটাতে বর্তমানে নিয়মিত লিখছেন সেটা "মুক্তচিন্তা"।
এছাড়াও ব্লগস্পটে তাঁর আরও চারটি ব্লগ আছে। FREEDOM OF EXPRESSION, TASLIMA NASREEN, taslima, এবং GOOD-OLD-DAYS.
○ তাঁর নিয়মিত লেখা ইংরেজী ব্লগ– "No Country for Women"
○ তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক লিংক– "Taslima's thoughts and ideas"
♣ "তসলিমা নাসরিন" আর্টিকেলে লেখা সামহোয়্যারইন ব্লগের পোস্টসমূহের লিংক-
♣ "তাসলিমা নাসরিন" আর্টিকেলে লেখা সামহোয়্যারইন ব্লগের পোস্টসমূহের লিক-
_________________________________________
তথ্যসূত্রঃ
◘ http://en.wikipedia.org/wiki/Taslima_Nasrin
◘ http://goo.gl/L939UI
◘ http://goo.gl/7jzR6w
◘ Click This Link
◘ Click This Link
◘ http://goo.gl/fs2bRO
◘ Click This Link
◘ Click This Link
◘ Click This Link
◘ Click This Link
◘ http://taslimanasrin.com/Taslima.pdf
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন