YouTube বন্ধ হয়ে গেলে...

বেশ কিছু দিন যাবৎ বাংলাদেশে ইউটিউব বন্ধ ছিল। কিন্তু তাই বলে আমাদের প্রয়োজন শেষ হয়ে যায় নি। নিজেদের প্রয়োজনের স্বার্থে বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে উপায় বের করে নিয়েছি।

তুমি নেই তাই

পরমিতা.. হয়তো বা আজ রাতে.. হয়তো বা তোমায় একটা চিঠি লিখতে পারি। তোমার অবর্তমানে আমার অনুভূতিগুলো সাজাবো তাতে।।

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩

গুডবাই স্বপ্নবীণা...

        

তুমি কি ফিরে আসতে পারবে?
আমার কল্পনায় নয়
আমার স্বপ্নে নয়
নয় কোনও অলৌকিক বা অশরীরী কিছু হয়ে
তোমাকে ফিরতে হবে জীবিত হয়ে
এটা কি সম্ভব?

druft 0.0.6

জানি, তুমি আর ফিরবেনা
দেখা হবেনা আর এই জীবনে
তবু মিছে সান্ত্বনা দিয়ে রাখা
আশায় বেঁধে স্বপ্নে বাঁচিয়ে রাখা

druft 0.0.5

আমি শুনেছি-
তুমি নাকি ৪ঠা জানুয়ারি আমার সাথে দেখা করছো?
কথাটা কি সত্যি?
বহুদিন পর এমন একটা কথা- হোক না মিথ্যে- শুনতে পেরে কিছুক্ষণের জন্যে হলেও আমর খুব ভালো লাগছে।
আমি ভুলে গেছে প্রায় এক বৎসর পূর্বে ঘটে যাওয়া পুরানো কিছু

druft 0.0.4

তুমি কি ফিরে আসতে পারবে?
আমার কল্পনায় নয়
আমার স্বপ্নে নয়
নয় কোনও অলৌকিক বা অশরীরী কিছু হয়ে
তোমাকে ফিরতে হবে জীবিত হয়ে
এটা কি সম্ভব?

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৩

druft 0.0.3


হাত ঘড়িতে তাকাতে গিয়ে বুঝতে পারি হাত ঘড়িটা রুডলফের কোনও একটা কামরায় টেবিলের উপরে অযত্নে পড়ে আছে। ওটা খুলে গিয়েছিল। আসার সময় খেয়াল করে সাথে নেওয়া হয়নি। থাক। ওটা ওখানেই পড়ে থাক।

বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৩

লিজাকে লেখা আমার শেষ চিঠি

প্রিয় লিজা!
জানিনা কেমন আছো তুমি? কোথায় আছো? জানিনা তোমার দিন পেরোয় কীভাবে? কেমনে তোমার রাত্রি নামে! জানতে খুব ইচ্ছে করে- এখন তুমি ঠিক মতো ঘুমোতে পারো কিনা! নাকি নির্ঘুম রাতের শেষে দু'চোখ জ্বালা করে! নাহ্.. এমন যেনো না হয়। আশা করি তুমি অনেক ভালো আছো। সুখে আছো। এমনটাই তো চাই আমি।

যে কথা বলতে চাইছিলাম সেটা হলো- তোমার সেলফোনের নাম্বারটা সব সময় আনরিচেবল। তোমাদের ঢাকার বাসায় অনেকদিন যাবৎ তালাবদ্ধ আছে। তুমি কি তোমার গ্রামের বাড়ীতেই আছো? না অন্য কোথাও? তোমার গ্রামের ঠিকানায় লেখা প্রায় দেড়শ' চিঠির একটারও উত্তর পাইনি। মনে হয় চিঠির বক্স খুলে দেখা হয়না তোমার! বড্ড অলস হয়ে গেছো তাইনা? নাকি আমি তোমার ঠিকানাটাও ভুলে গেছি, বুঝতে পারিনা!

লিজা!
হঠাৎ করেই তোমার এমন নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া, আমাকে কিছু না বলে চলে যাওয়া- আমি আজও হিসেব মেলাতে পারিনা। আমি কি কোনও ভুল করেছিলাম নিজের অজান্তে, অবচেতন মনে? করলে আমাকে বলতে পারতে। আমি নিজেকে শুধরে নিতে সক্রিয় হতাম। আমাকে একটু জানানোর প্রয়োজনও মনে করলেনা! বড়ই দুঃখ পেয়েছিলাম। তবুও একটু খানি যোগাযোগ রাখলে মনে হয় তেমন একটা ক্ষতি হতো না তোমার।

কী জানো, মাঝে মাঝে আমি রাতে ঘুমাতে পারিনা। সারারাত জেগে থেকে দিনের বেলা অফিসে ঝিমাই। তোমার কথা মনে পড়লে আমি নিথর হয়ে যাই। মস্তিষ্কের নিউরন সেলগুলো শূন্য হয়ে যায়। শুরুর দিকে আদতেই দেবদাস হয়ে গিয়েছিলাম। চাকুরিটা ছেড়ে দিতে হয়েছিল। এখন অবশ্য নিজেকে কিছুটা হলেও সামলে নিতে পেরেছি বৈ কী।

প্রিয়তম!
হয়তো বা, এই শহরেরই কোনও এক অট্টালিকায় তোমার বাস। সময়ে আমাদের চলার পথও এক হয়ে যায়। তোমার পাদুকা ঝরা ধূলি হয়তো হাজারো জুতার দলুনির পর আমার পথের বাঁকে এসে থামে। তবুও আমাদের দেখা হয়না আর। হবেওনা আর মনে হয় কখনও।

যাই হোক, যেখানেই থাকো। ভালো থেকো। শুভ কামনা রইলো। সব সময়ে।

ইতি

অপ্রত্যাশিত কেউ



read from old Epistles: 27-11-2008

চিঠিটা অনেক আগের লেখা। সেদিন পুরানো একা ড্রয়ার খুলতেই কতোগুলো বাতিল খসড়া চিঠি পেয়েছিলাম। তার একটা অংশ। এখন সেই চিঠিগুলো পড়ে খুব হাসি পাচ্ছে আমার। কেমন ছেলেমানুষি করতাম আগে।

---------------------------------------------------------------------------
১১-১২-১৩
সুন্দর একটা তারিখ। ০১-০১-০১ এবং ০১-০২-০৩ থেকে শুরু করে ১২-১২-১২ এবং ১১-১২-১৩ পর্যন্ত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে বেশ কিছু তারিখ আছে। আজকের এই দিনটি এই ক্রমান্বয়ের শেষ দিন। এই রকম তারিখ এই শতাব্দীতে আর নেই। আমাদের পরের প্রজন্ম আগামী শতকে দেখতে পাবে আবার। এই ধরণের দিনগুলোতে মানুষ অনেক শুভ কাজের সূচনা করে থাকে। অনেক তরুণ-তরুণী আজকের এই দিনে তাদের বিয়ের বাগদান সম্পন্ন করবে। এর জন্য অনেক আগে থেকেই তারা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। এমন একটা দিনের স্মৃতি কে বা হারাতে চায়...

সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৩

তবুও কিছু- কিছুই থেকে যায়


কিছু স্বপ্ন আকাশের কোলে বলিরেখার ন্যয় মুছে যায়
কিছু আশা তীরে ভিড়তে পারে না, মাঝ নদীতেই ডুবে যায়
সন্ধ্যা তারার মতো একটু একটু জ্বলে নিভে আঁধারে ঢাকা পড়ে
কিছু স্বপ্ন স্রোতের ধারায় বইতে থাকে
চোরাবালিতে ডোবাতে থাকে
মরিচিকার মতো আজীবন হাতছানি দিয়ে পিছু ডাকে

রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৩

হারিয়েই যাবে যদি.. তবে কেনো এসেছিলে

নাহ..
এখন আর আমাদের চলার পথে দেখা হয়না। আচমকা
ফোনে বা স্কাইপে কথা বলা হয়না এখন আর
আমরা এখন আর চিঠি চালাচালি করিনা
পরোক্ষ ভাবে কেউ কারও খবরও নিইনা আমরা
ফেসবুকে মেসেজ দিয়ে রাখিনা আর

রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৩

দ্বৈত ভালোবাসা


ভালোবাসার এ–পিঠ  
ভালোবাসা মানে অনেক কিছু পেয়ে যাওয়া ভালোবাসা মানে কারও মুখ পানে তাকিয়ে থাকা ভালোবাসা মানে রাত জেগে গল্প করা ভালোবাসা মানে কাউকে সব সময় কাছে পাওয়া ভালোবাসা মানে কিছু একটা প্রকাশ করে দেয়া ভালোবাসা মানে হাসিমাখা মুখ ভালোবাসা মানে কারও মন জয় করা ভালোবাসা মানে প্রেম সাগরে স্নান করা ভালোবাসা মানে কিছু স্বপ্ন দেখা

সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৩

ভুল পথে হাঁটছো.. বালিকা.. ঃ~~~


বালিকা নীরব
কপট তার বাকশক্তি
সর্ব-সহিষ্ণু হৃদয়
পাণ্ডুর মুখশ্রী

ভুল.. বালিকা
ভুল পথ ধরেছো
ভ্রান্ত তব চৈতন্য

জীবনের বহু অন্তমিল
তুমি ক'টা পেরিয়েছো..
এটুকুতেই শ্রান্ত !!!

প্রিয় কণ্ঠশিল্পী মান্না দে'র কফি হাউস অবলম্বনে ধারাবাহিক নাটক “কফি হাউস” || সকল পর্বের ডাউনলোড লিংক




=========================
ধারাবাহিক নাটকঃ কফি হাউস
যারা অভিনয় করেছেনঃ
জয়া আহসান (সুজাতা), অপূর্ব (ডিসুজা), দিলীপ চক্রবর্তী (মাইদুল), সব্যসাচী হাজরা (নিখিলেশ), শিবু (অমল), তিশা (রমা রায়), আনিসুর রহমান মিলন (আদিত্য), সজল এবং আফরোজা বানু..

শুটিং স্পট সমূহঃ
উত্তরার বিভিন্ন লোকেশনে, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস, ঢাকা ইউনিভার্সিটি, বুয়েট এবং এলিফেন্ট রোডের কফি হাউস।

পর্ব সংখ্যাঃ ০১–২৬
ভিডিও ফরম্যাটঃ .wmv

যেসব প্লেয়ারে চলবেঃ
Windows Media Player, RealPlayer, MPlayer, The KMPlayer, Media Player Classic এবং VLC Media Player...
=========================

শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৩

~~~ উদাস নিশীথ ~~~


তুমি এসেছিলে
এসেছিলে রংধনু হয়ে
চমৎকার এক স্বপ্ন হয়ে আমার জীবনে
আমায় তুমি সজীব করেছিলে
নতুন করে। বসন্তময় কিছু প্রহর।
আনন্দঘেরা ক্ষণকাল
পুনরায় হাসতে শিখিয়েছিলে আমায়
আমি আবার গান গেয়েছিনু বহুদিন পর
স্মৃতি থেকে অতীত হারিয়ে ফেলেছিলাম

নজরুলের চমৎকার একটা কবিতা

বুঝলাম না, আজ হঠাৎ এই কবিতাটা অনেক পড়তে ইচ্ছে করল কেনো... কবিতাটা অনেক ভালো লাগে পড়তে। অসাধারণ লাগলো... বিরহকে জয় যাকে বলে। হাসিমুখে বরণ বললেও অত্যুক্তি হবেনা।


বাতায়ন-পাশে গুবাক তরুর সারি
------------------------------

বিদায়, হে মোর বাতায়ন-পাশে নিশীথ জাগার সাথী !
ওগো বন্ধুরা, পান্ডুর হ’য়ে এল বিদায়ের রাতি !
আজ হ’তে হ’ল বন্ধ আমার জানালার ঝিলিমিলি,
আজ হ’তে হ’ল বন্ধ মোদের আলাপন নিরিবিলি ------

অস্ত-আকাশ-অলিন্দে তার শীর্ণ-কপোল রাখি’
কাঁদিতেছে চাঁদ, “মুসাফির জাগো, নিশি আর নাই বাকী |
নিশীথিনী যার দূর বন-ছায় তন্দ্রায় ঢুলু ঢুল্ ,
ফিরে ফিরে চায়, দু’-হাতে জড়ায় আঁধারের এলোচুল !”

চমকিয়া জাগি, ললাটে আমার কাহার নিশাস লাগে ?
কে করে ব্যজন তপ্ত ললাটে, কে মোর শিয়রে জাগে ?
জেগে দেখি, মোর বাতায়ন-পাশে জাগিছে স্বপনচারী
নিশীথ রাতের বন্ধু আমার গুবাক-তরুর সারি !

মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৩

~~~ মনে করো, যেন বিদেশ ঘুরে || মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে || তুমি যাচ্ছ পালকিতে, মা, চ’ড়ে ~~~


মা
তুমি মা
মমতাময়ী মা
মা.. তুমি ধৈর্যের প্রতীক
    মা.. তুমি চির উদারতার আধার ঃ–––
মা.. ওগো মা.. তুমি মহান
তু্মি একটি সমাজ
একটি জাতি-
দেশ-
ম হা দে শ..
মা.. তুমি পৃথিবী।।

শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৩

গল্পটা এমনও হতে পারেঃ পরাবাস্তব

ব্যালকনির পাশে একটা নারকেল গাছ দাঁড়িয়ে। বাড়ির অন্য গাছগুলোর চাইতে এই গাছটা তুলনামুলক খাঁটো। মৃদু শব্দে নারকেল পাতারা ঝিরঝিরিয়ে দোল খাচ্ছে। চিকন-লম্বা পাতাগুলোর শেষ প্রান্ত বেয়ে টপটপ করে পানি গড়িয়ে পড়ছে। কয়েকটা ফোঁটা উড়ে এসে ইভানার চেহারায় জলজ তিলক পরিয়ে দিল। ও বসে ছিল তৃতীয় তলার বেলকনিতে। শ্রাবণের শেষ বৃষ্টি একটু আগেই ঝরিয়ে দিয়ে গেছে প্রকৃতি। আরও একটা বর্ষা পেরিয়ে গেল। একটু পরেই শরতের প্রথম ভোর। সারাটা রাত নির্ঘুম কাটিয়ে ইভানা ঢুলুঢুলু চোখ নিয়ে উঠে গেল স্টাডি রুমের দিকে। আলমিরা থেকে বহুদিনের অব্যবহৃত পুরানো ডায়েরিটা বের করল। টেবিল ল্যাম্পটা জ্বেলে একটা চেয়ার টেনে বসল। মেঝেয় ঘষা লেগে শুকনো কাঠ ক্যাচ্... শব্দ ছড়িয়ে আর্তনাদ করে উঠে। ইভানা এই আওয়াজটার সাথে খুব পরিচিত। ও একেবারেই সহ্য করতে পারেনা। শরীর শিরশির করে তার এই আওয়াজ কানে গেলে। আজও ব্যতিক্রম হলনা। একটা বাজে শব্দ। দাঁতে দাঁত চেপে কটকট শব্দ তুলছে সে। অনেকদিন পর আজ সে একটা চিঠি লিখবে। রাসেলকে। কতো-দিন হলো চিঠি লেখেনা। ডায়েরির সব ক'টা পাতা হলদেটে রূপ ধারণ করেছে। খসখসে পাতাগুলো তার দিকে উৎসুক নয়নে তাকিয়ে আছে তৃষ্ণার্ত হয়ে। তার লেখনির আঁচড়ে যেন একটু খানি মসির পরশ অতৃপ্ত কাগজের পিয়াস মেটায়.. ঢুলুঢুলু চোখে ঘুম নেমে এলো। চিঠি আর লেখা হলো না তার..

বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০১৩

শ্রাবণ রজনী শেষে


ব্যালকনির পাশে একটা নারকেল গাছ দাঁড়িয়ে। বাড়ির অন্য গাছগুলোর চাইতে এই গাছটা তুলনামুলক খাঁটো। মৃদু শব্দে নারকেল পাতারা ঝিরঝিরিয়ে দোল খাচ্ছে। চিকন-লম্বা পাতাগুলোর শেষ প্রান্ত বেয়ে টপটপ করে পানি গড়িয়ে পড়ছে। কয়েকটা ফোঁটা উড়ে এসে ইভানার চেহারায় জলজ তিলক পরিয়ে দিল। ও বসে ছিল তৃতীয় তলার বেলকনিতে। শ্রাবণের শেষ বৃষ্টি একটু আগেই ঝরিয়ে দিয়ে গেছে প্রকৃতি। আরও একটা বর্ষা পেরিয়ে গেল। একটু পরেই শরতের প্রথম ভোর। সারাটা রাত নির্ঘুম কাটিয়ে ইভানা ঢুলুঢুলু চোখ নিয়ে উঠে গেল স্টাডি রুমের দিকে।

মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৩

কিছুই বুঝতে পারছিনা

আমি অসহ্য যন্ত্রণায় ফেটে যাচ্ছে আমার ভেতরটা। প্রতিটি ন্যানো সেকেন্ডে আমি ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছি। ক্ষণে ক্ষণে আহত হচ্ছি। মরে আবার জীবিত হয়ে চলেছি। তবুও আমি চিৎকার করতে পারছিনা। আমার চোখ দিয়ে একটুও অশ্রু গড়াচ্ছে না। আমি বোধ হয় কাঁদতে পারবো না। এটাই এখন সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার... :(

সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

ছোটগল্পঃ গল্পকারের মৃত্যু || অতঃপর মৃত্যুজট




গেল বছরে পরপর তিনবার পুলিশ ও ডিবি কর্তৃক রিমান্ডে ডিম থেরাপি এবং র‌্যাব কর্তৃক ডান্ডাবাড়ির পর 'রূপম' মোটামুটি শান্ত-শিষ্ট ও একজন লেজ বিশিষ্ট্য ভদ্র হয়ে গিয়েছিল। এক পুলিশের মেয়ে 'নিশি'কে কেন্দ্র করে সে প্রেমের গল্প লিখত। ব্লগে-ফেসবুকে এসব লিখে বেড়াত। তাই তাকে একটু আদর করেছিল নিশির বাবা। একবার তো র‌্যাবের এক মহিলা সদস্যাকে জড়িয়ে প্রেমের গল্প লিখে কালকাঠির ডান্ডাবাড়ি সইতে না পেরে ছয় মাস বিছানাতেই পড়েছিল রূপম। কিন্তু এই ছয় মাসই তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ছিল। এই সময়ে তিনি একজন অলরাউন্ডার গল্পকার হিসেবে বেশ সুনাম অর্জন করেছিলেন। গল্পের কারণে তার এতো এতো সুনাম এবং প্রেমের গল্পের কারণে তার এই করুণ পরিণতি দেখে শেষ পর্যন্ত নিশি সত্যিই তার প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। হতভাগা পাগলা লেখক রূপম ততদিনে অন্য একটা মেয়ের প্রেমে পড়ে একেবারেই ডুবে গেছে। একদিন নিশি রূপমকে দেখতে আসল তার বাসায়। একটা ফুলের তোড়া নিয়ে। টকটকে লাল গোলাপ। কিন্তু রূপম টিনার প্রেমে এতটাই বিভোর যে, নিশিকে সাধারণ একজন ভক্তের স্তরে রেখে এক সময় বলেই ফেলল-
☺ "জানো নিশি, আজ আমি অনেক অনেক হ্যাপি।"
যেন একটু ক্ষোভ থেকেই বলেছে মনে হয়। ফুলের তোড়ার জন্য একটু ধন্যবাদও বেরুল না তার মুখ থেকে। তার এধরণের কথায় নিশি মর্মাহত হয়ে বলল-
☻ " জানিতো, আপনি অনেক বড় গল্পকার মানুষ। চাইলেই এক মিনিটে শত শত গল্প বানাতে পারেন। এখন কি আর আমাদের কথা মনে থাকে?
☺ না. না. ওইরকম কিছু না। আমি সুখি অন্য কারণে।
☻ কী সেটা. জানতে পারি?
☺ কেন নয়, অবশ্যই জানতে পারো।" এই বলে রূপম ভাবতে লাগল, নিশিকে টিনার কথা বলবে কিনা! কিন্তু নিশি তাড়া দেয়-
☻ কি হলো রূপম ভাই। কি ভাবছেন?
☺ ওহ, হ্যাঁ! আমি একটু ভাবছিলাম আর কি... ভাবছি ব্যাপারটা তোমাকে বলব কিনা!
☻ আশ্চর্য! কোন ব্যাপারটা? আমিতো কিছুই বুঝতে পারছিনা। তাছাড়া আমাকে বললে আপনার কি কোনও নোবেল টোবেল চুরি হয়ে যাবে? আমি কী করবো ওসব দিয়ে...
☺ তুমি যদি কিছু মনে কর?
☻ আমি কিচ্ছু মনে করিব না, জাহাঁপনা। আপনি এইবার বলিয়া ফেলুন. পিলিজ.....
☺ ইয়ে মানে, ইয়ে, ওইযে, তোমার একটা বান্ধবী আছে না... টিনা না কি যেন নাম?" ন্যাকামি করে বলে রূপম।
☻হ্যাঁ, আছে তো.. কি হয়েছে!
☺ কিছু হয়নি। তবে ও আমাকে খুব ভালোবাসে, আমিও তাই ..............
☻ নিশি ভাবল, লেখক মানুষ তো... তাই তাকে কতো মেয়ে ভালোবাসে আজ। আহারে, কেনো যে আমি এতোদিন পরে তার প্রেমে পড়লাম। এর সব দোষ প্রেম হারামজাদার। প্রেম বলদটা কেনো এতোদিন আমার উপরে পড়েনি! তাহলে তো এতোদিনে বিশিষ্ট লেখক রূপমের শ্রাবণী' হতে পারতাম। রূপম আমার জন্য দু-দু'বার রিমান্ডে গিয়েছিল। কততো গুলা রাধাহাসের ডিম তাকে হজম করতে হয়েছিল। রূপমের জন্য তার কষ্ট লাগে খুব। পর মূহুর্তেই বাস্তবে ফিরে আসে। রূপমকে জিজ্ঞেস করে-
☻ আপনি মনে হয় টিনাকে নিয়েও একটা প্রেমের গল্প লিখেছেন, তাইনা রূপম ভাই... সবার আগে আমাকে পড়তে দিবেন কিন্তু-- বলেই এক গাল হাসি উপহার দেয় রূপমকে
☺ রূপম তাকে থামিয়ে দিয়ে বলে- আরে না, তাকে নিয়ে কোনও গল্প লিখব না। বরং তার সাথে আমার হাজার হাজার গল্প তৈরি হবে। আমিও যে তাকে ভা লো বা সি .........

☻নিশির মাথায় যেন সপ্ত আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। বহুদূর থেকে ছুটে আসা দ্রুতগামীর একটা এক্সপ্রেস ট্রেন যেন নিশিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল। নিশি অস্বাভাবিক ভাবেই হঠাৎ ঝাঁকি খেল খুব। তার এই অবস্থা দেখে রূপম ঘাবড়ে গিয়ে বলল-
☺ কী ব্যাপার! তোমার শরীর খারাপ নাকি! কোনও সমস্যা?
নিজেকে সামলে নিয়ে নিশি বলল-
☻ না, ভাইয়া! আমার কিছু হয়নি। কেমন যেনো ভূমিকম্পের মতো লাগল। তাই এমন হয়েছে।
☺ কই নাতো, আমি তো টেরই পাইনি। ভূমিকম্প হয়নি তো!
☻ ঠিক আছে রূপম ভাই। আমি তাহলে আজ আসি?
☺ আচ্ছা, টিনাকে একটু আসতে বলবে, কেমন?
☻ ওকে, আপনি ভালো থাকবেন” বলে রূপমের বাসা থেকে বেরিয়ে আসল নিশি।
আনমনে পথ চলতে চলতে নিশি ভাবছে- রূপম একসময় তাকে খুব ভালোবাসতো। আজ সেও রূপমকে ভালোবাসে। এখানে তৃতীয় কারও স্থান হতেই পারে না। যে করেই হোক, রূপমকে টিনার হাত থেকে বাঁচাতেই হবে। নিশি শপথ করল- তার জীবন থাকতে সে রূপমকে অন্য কারও হতে দিবেনা। রূপম নিশিরই থাকতে হবে, যেমনি নিশি রূপমের।

নিশির উপর একরকম রাগ করেছে রূপম। তার এত কিছু হলো। নিশি কোনও খবরই নিল না। এখন আসছে ঢং দেখাতে। এর চাইতে টিনা-ই ভালো। রূপম দূরে ঠেলে দিলেও সে তার আরও কাছে আসে। রূপম ভাবে। নিশিকে ডিলিট করে টিনাকে নিয়েই সে ভবিষ্যৎ স্বপ্ন দেখবে। টিনা খুব ভালো একটা মেয়ে। কখনও তাকে অবহেলা করেনা। তার সাথে কখনও নিশির মতো ভাব দেখায় না। কল করলে বরং কেটে দিয়ে ব্যাক করে। বাহ্, এতে রূপম বেশ মজা পায়। নিশির মতো শান্ত নয়। উচ্ছল, চঞ্চলা-চপলা মেয়ে টিনা।
                                    –––––––––––○•○•○–––––––––––

ডিউক। একজন পেশাদার কুখ্যাত খুনি। টাকার বিনিময়ে সে যাকে-তাকে খুন করতেও দ্বিধা করে না। এই পর্যন্ত দেড় শতাধিক খুন করার পরও পুলিশের ব্ল্যাকলিস্টে তার নাম নেই জেনে সে প্রায়ই অবাক হয়। খুনি জীবনে তার চেহারায় কেউ করুণার ছাঁপ দেখেনি। আজ তিন সপ্তাহ গত হতে চলেছে অথচ তার হাতে কোনও এ্যাসাইনমেন্ট নেই। গেল সপ্তাহে সিংগাপুর বেড়িয়ে এল। হাতে কোনও কাজও পাচ্ছে না যে সময় কাটাবে। অবসর তার খুব যন্ত্রণাদায়ক মনে হলেও এখন সেই যন্ত্রণাতেই সে সময় পার করছে। একটু আয়েশ করে ইজি চেয়ারটায় গিয়ে বসল। 'লিপসে'র প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট বের করল। এ্যাশট্রে-র দিকে তাকাতে তাকাতে ওটা সিগারেটটা ধরিয়ে আয়েশ করে দিল লম্বা এক টান। একটু পর ধিরে ধিরে নাক-মুখ দিয়ে ধোঁয়া ছাড়তে লাগল। তাকিয়ে আছে বাতাসে হারিয়ে যেতে থাকা ধোঁয়ার কুন্ডলীর দিকে। আহা... মানুষের জীবনটাও তো এভাবে মিলিয়ে যায় কত সহজে। জীবনটা যেন একটা ধোঁয়ার পাক। এর কোনও নিশ্চয়তাই নেই। ডিউকের ভাবনারা বেশিদূর যেতে পারেনা। মৃদু শব্দে তার মুঠোফোন বেজে উঠল। অপরিচিত নাম্বার। রিসিভ করে কানে ঠেকাতেই অপর প্রান্তে একটা নারী কণ্ঠ শুনতে পেল।
☻ হ্যালো... এখানে কি ডিউক নামে কেউ থাকেন?
☺ হ্যাঁ... আমিই ডিউক, আপনি কে বলছেন?
☻ আপনি আমাকে চিনবেন না। তবে আপনাকে আমার একটা কাজ করে দিতে হবে।
☺ তার আগে শুনি, আপনার কাজটা কী রকম?
☻ কাজটা হলো... ... ...
...
...
...
...
...
☺ তা লোকটা কে?
☻ রূপম। গল্পকার.. চেনেন?
☺ কোন রূপম! নিশির নামে প্রেমের গল্প লিখে তিনবার রিমান্ডে গিয়েছিল যে, সেই রূপম?
☻ হুম... ঠিক ধরেছেন।
☺ নাহ। কাজটা আমি পারব না... রূপম খুব ভালো ছেলে। দেশের রত্ন।
☻ আমার ভালো করেই জানা আছে সে কেমন ছেলে, আমার চেয়ে আপনি বেশি জানেন না...
☺ তবুও আমি পারব না.
☻ আমি যদি আপনাকে দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দেই, তাহলে করবেন?
সেলফোন হাতে ডিউক নিরব। ওপাশের কণ্ঠটাও নিশ্চুপ... কেন জানি আজ ওকে খুব মানবতায় পেয়েছে। ও ভাবতেই থাকল। কিন্তু কোনও কুল কিনারায় পৌঁছুতে পারছে না... আকস্মাৎ ছেদ পড়ল তার চিন্তায়-
☻কী ব্যাপার... কথা বলছেন না কেন?
☺তাড়া খেয়ে হুট করেই বলে ফেলে ডিউক- আমাকে তিনগুণ দিতে হবে আপনার। রাজী?
☻ওকে, ব্যাপার না। আপনি কাল দুপুরের পূর্বেই আপনার একাউন্টে পারিশ্রমিকের দ্বিগুণ পৌঁছে যাবে। বাকী চার লক্ষ টাকা (সম্মানী'র এক লক্ষ সহ) কাজ সম্পূর্ণ করার পর পাবেন। তবে আমার একটা শর্ত আছে। আপনাকে রাখতেই হবে তা।
☺ কী সেটা!!!
☻ রূপমকে কোনও কষ্ট দেয়া যাবে না।
হোহো করে অট্টহাসি বেরিয়ে এল ডিউকের মুখ থেকে। সে বলল-
☺ আপনার কথা শুনে আমার কৌতুহল বোধ হচ্ছে। আপনার মাথা ঠিকাছে তো? কষ্ট না দেওয়ার কথা তো আপনার কাছে আশা করা যায় না!!! হাহাহাহা. হাহাহহহাহাহা হোাহহাহাহাহাহাহাহাহ
☻হাসবেন না, আমি ঠিক আছি। সুস্থ মনেই বলছি- তাকে একটুও কষ্ট বা ব্যাথা দিবেন না, প্লীজ। আর কাজ শেষ হলেই আমাকে ইনফর্ম করবেন।
☺ ওকে, ডান।
                                    –––––––––––○•○•○–––––––––––

দুপুরে অলসভাবে বসে বসে ব্লগ দিয়ে নেট ব্রাউজ করছিল হেক্টর বাবু। সে ফেবুতে তেমন একটা যায় না। সেখানে গেলেই তাকে ঝাঁক বেঁধে উড়ে আসা বিরহের পাখিরা ঘিরে ধরে। তাদেরই এলাকার টিনাকে সে কতোবার ফেবুতে রিকু পাঠিয়েছে। তাকে এক্সেপ্ট করেনি টিনা। ফেইক আইডি থেকে রিকু পাঠাবার সুবাদে যদিও এড হতে পেরেছে, পরিচয় বলার পর আনফ্রেন্ডসহ ব্লক খেয়েছে হেক্টর। তবুও ভালো ছিল। ইদানিং দেখা যায় পাশের এলাকার স্বনামধন্য এক পিচ্চি লেখকের প্রেমে পড়েছে। মাঝে মাঝেই ওদের হাত ধরাধরি করে হাটতে দেখলে হেক্টরের বুকের গহিনে চিন্ চিন্ করে ওঠে। খুব ব্যথা লাগে অন্তরের ভেতরে। হেক্টরের ছোটভাই লাভলু তো সেদিন বলেই ফেলেছিল- ভাইয়া, তুই শুধু একবার অনুমতি দে, দেখবি দুইটারে আমি কী নাকানি-চুবানি খাওয়াই। নইলে আমার নামই পরিবর্তন করে ফেলব। হিক্টর তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেছিল- ওদের তো কোনও দোষ নেই। হয়তো-বা পারে হেক্টর টিনার যোগ্য হতে পারেনি। মনিটরের স্ক্রিনে নিজের হতাশার বালি গুণছে এমন সময় ডিউকের কল পেল। খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ দিয়েছে ডিউক। আজ লেখক সাহেবের কপালে মনে হয় শনি ঘুরছে। রূপমকে নাকি আজ অনুসরণ করতে হবে। কোথায় যায়, কী করে, সব খবর রাখতে হবে তাকে। রাত অবধি। তার একার পক্ষে সম্ভব নয়। সে লাভলুদের জানিয়ে দিল। আপাতত লাভলুরা সামাল দিক। টিনাকে নিয়ে সে একটা গল্প লিখছে। গল্পটা শেষ করে ব্লগে দিতে হবে আজ। তার মানে সে এখন অনেক বিজি।
                                    –––––––––––○•○•○–––––––––––


প্রতিদিনের মতো আজও সন্ধ্যায় রূপম টিনাদের বাড়ির পেছনের বাগান ঘেষা পথে হাটছে আর ফোনে কথা বলছে টিনার সাথে। ও খেয়াল করল- প্রায় আধঘন্টা ধরে একটা ছেলে তাকে অনুসরণ করছে। রূপম যেদিকে যায়, ছেলেটাও সেদিকেই যায়। রূপম কোথাও থামলে একটু দূরে সেই ছেলেটাও থেমে দাঁড়ায়। ওর খুব অস্বস্তি লাগছে। ছেলেটা এখানে কী করছে। রূপম এখন যেখানটায় দাঁড়ানো সেখান থেকে টিনাকে দেখা যাচ্ছে। টিনা ওদের পেছনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। দু'জন দু'জনকে দেখছিল। উভয়ের দূরত্ব ত্রিশমিটারের হলেও মোবাইল তা কমিয়ে খুব কাছে নিয়ে এসেছে। রূপমকে চুপ করে থাকতে দেখে টিনা বলে
☻ কি ব্যাপার চুপ করে থাকলা কেনো? কথা বলো...
☺ টিনা, আমি তোমাকে একটু পরে ফোন করবো। এখন রাখি, বাই।" টিনার ফিরতি কথা ওর কানের ধারে পৌঁছার আগেই কলটা কেটে দিল। টিনার মন খারাপ। সে ফেবুতে স্ট্যাটাস দিল- ফিলিং স্যাড। ৫ মিনিটেই ১১৭ টা লাইক, ২৯৬ টা কমেন্ট পড়ল তাতে। ওদিকে রূপম এগিয়ে গেল সেই ছেলেটার দিকে।
☺ এইযে ভাই, এখানে কী করছেন।
☺☺ কী করছি মানে, হাওয়া খাচ্ছি।" একই সাথে চঞ্চল ও নির্লিপ্ত কণ্ঠে বলে ছেলেটা।
☺ তাহলে একটু ওইদিকে যান। আমার প্রবলেম হচ্ছে।
☺☺ ওই মিয়া!" ছেলেটা রেগে বলল- "আপনের কী? এটা কী আপনের কেনা জায়গা?"
☺আরে! আপনি রেগে যাচ্ছেন কেন? আমি তো আপনাকে অনুরোধ করলাম মাত্র।
লাভলু ছেলেটাও সুযোগ হাত-ছাড়া করতে যেন নারাজ। সে বলল-
☺☺ তুমারে আজকা খাইসি আমি। তুমি আমারে ওইদিকে যাইবার কইলা কেন্! আমাগো এলাকায় আইসা আমাগো চোক্ষের সামনে দিয়া পিরিত কর!! আজগা শিখাইয়া দিমু পিরিত কারে কয়...
☺ কী করবেন আপনি?
☺☺ একটু পরেই টের পাবা" বলে পথের বাঁকে আড্ডা দিতে থাকা বাকিদের ফোন করল।
আর যায় কোথায়? মূহুর্তেই আট-নয়জন এসে জেঁকে ধরল রূপমকে। ওদিকে বারান্দায় দাঁড়িয়ে রূপমের এই অবস্থা দেখে টিনার খুব ভয় করতে লাগল। ও জানেনা রূপমের সাথে ছেলেগুলোর কী নিয়ে সমস্যা! ও পুলিশকে ফোন করতে চলে গেল।
ছেলেগুলোকে রূপম বারবার চেষ্টা করেও বোঝাতে ব্যর্থ হয়ে এক পর্যায়ে বলল-
☺ তোমরা জানো, আমি কে? আমি গল্পকার রূপম। তাছাড়া আমি ঢাকা সিটির পরিবেশ বন্ধু খ্যাত জি.এস. মাসুদ রানা ওরফে এম.আর নাইটের ঘনিষ্ট লোক। আমাকে কিছু করে তোমরা একটাও ছাড় পাবেনা।
বখাটে ছেলেগুলো হোহো করে হেসে ফেলল।
☺☺ কয় কী... পেরিবেশ বেন্দু আমাগো কী করবো দেখতে মুনচায়.. পারলে কিছু করতে বলিস।
টুপ করে হেক্টরকে ফোন লাগাল লাভলু।

☺ বস... পোলাডায় তো গেঞ্জাম লাগাইয়া দিছে।
☺☺ তোরা একটু অপেক্ষা কর। ওরে কুনু রকমে আটকায়া রাক। ডিউক আইতাসে। এতক্ষনে তো পৌঁছায়া যাওনের কতা...
ডিউকের কথা শুনে লাভলু ঢোক গিলল। "ঠিকাছে" বলে লাইন কেটে দিল সে। ও বুঝে ফেলল কী ঘটতে যাচ্ছে। তবুও বুঝলনা- মশা মারতে কামান দাগানো হচ্ছে কেন? সেতো জানেনা- বেচারা রূপমের মূল্য এখন দশ লক্ষ টাকা মাত্র। ডিউক তার জীবনে এইরকম নিরীহ কোনও ভালো মানুষকে আঘাত করেছে বলে মনে হয়না তার। ক্ষণিকের জন্য রূপমের জন্য তার মায়া লাগে। একবার ভাবে যা হবার হয়েছে, রূপমকে পালাতে সাহায্য করবে এবার। কিন্তু পরক্ষণেই ডিউকের ভাবমুর্তিকে একটা জিপসি হোন্ডায় আসতে দেখে বুকটা তার জমে গেল আতংকে।
এতোক্ষণে রূপমকে ঘিরে থাকা ছেলেগুলো তাকে মনের মতো করে গণধোলাই দিয়েছে। রূপমের চেহারাটা ফুলে গেছে এত্তোগুলো কিল-ঘুষি সহ্য করতে না পেরে। ডিউককে কাছে আসতে দেখে ওরা সবাই চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। খুব ভয় পেয়েছে ওরা। যদিও জানেনা ডিউক কেন এসেছে এখানে! কারণ, লাভলুই তো এই মাত্র জানতে পেল। রূপমের শরীরের অবস্থা দেখে লাভলুর মন কেঁদে উঠল। রূপমের এই হাল আজ নির্দয়-পাষাণ ডিউকের মনেও কিছুটা প্রভাব ফেলেছে (রূপমের কয়েকটা ছবি ডিউককে মেইল করেছিল নিশি)। তবে সে তা প্রকাশ করল না। শুধু মনে একটু কষ্ট পেল। তার কি কোনও কালে মন ছিল!!! হুম... অবকাশে তাকে ভাবতে হবে এই ব্যাপারে। তার দায়িত্ব ছিল- রূপমকে কোনও কষ্ট দেয়া চলবেনা। সে তা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। জীবনে এই প্রথম তার কর্তব্যে ঊনিশ-বিশ হলো। যা উচিত হয়নি। যাকগে, তাকে তার মূল কাজটা শেষ করতে হবে আগে। পরে সব ভাবা যাবে...

রূপম অনেক কষ্টে উঠে দাঁড়াল। ডিউককে সে কোনও দিন দেখেনি। তবুও চেহারাটা চেনা মনে হচ্ছে। হয়তো ব্লগে, ফেবুতে বা পত্রিকার পাতায় দেখেছিল কখনো। ডিউক তার খুব কাছে আসল। রূপম তাকে জিজ্ঞেস করল-
☺ আপনাকে চেনা চেনা মনে হচ্ছে। কে আপনি?
☺☺ আমি তোমার বন্ধু।" বলতে বলেতে সাইলেন্সারযুক্ত একটা মিনি ওয়ালথার ওয়ান সেভেন্টি ফাইভ বের করে আনল।
রূপম কিছুই বুঝতে পারল না। সেই অবকাশটুকু পাবার আগেই খুট করে একটা শব্দ হলো। রূপমের দেহখানা লুটিয়ে পড়ল মাটিতে। বোকা একটা ছেলে মুখ ফসকে বলেই ফেলল- "জয় বাংলা-বুলেট সামলা"। জিপসি হোন্ডা চলে গেছে। রাস্তার শেষ মাথায় নেমপ্লেট বিহীন একটা মাইক্রোবাসকে স্টার্ট নিতে দেখা গেল।
টিনা ফোন শেষ করে এসে দেখে সব কিছুই নিশ্চুপ হয়ে গেছে। রূপমের লাশ পড়ে আছে মাটিতে। নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারল না সে। বাইরে বেরিয়ে এল। মৃতদেহের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল। [গল্পে এই পর্যায়ে এসে রূপমের মৃত্যুর কথা লিখতে খুব কষ্ট হচ্ছে লেখকের। ] টিনা ভাবতেই পারছেনা- এতদ্রুত এতকিছু ঘটল কী করে!! একটু পরেই পুলিশ এসে ময়নাতদন্ত করাতে লাশ নিয়ে চলে গেল।
                                    –––––––––––○•○•○–––––––––––

বাড়ির ছাদে পায়চারি করছে নিশি। তাকে খুব অস্থির দেখাচ্ছে। শুধু ভাবছে ডিউককে দেয়া কাজ শেষ হবে কখন। কখন ওকে ইনফর্ম করবে ডিউক। প্রতীক্ষার ঘড়িকে থামিয়ে দিয়ে এক সময় সেলফোনটা বেজে উঠল।
☻ হ্যালো...
☺ আপনার কাজটা শেষ হয়ে গেছে।” ভরাট কণ্ঠে বলল ডিউক- “তবে আমি দুঃখিত। আপনার দেয়া শর্তটা আমি রক্ষা করতে পারিনি।
☻ কী হয়েছে, খুলে বলেন...
☺ আমি পৌঁছুবার আগেই এলাকার কিছু ছেলে রূপমকে খুব মেরেছিল। তাই ভাবছি- বাকি টাকাটা আর নেবনা।
নিশির চেহারাটা মূহুর্তেই কালোমেঘে ঢেকে গেল যেন। তবুও নিজেকে সংবরণ করে বলল-
☻ না, এলাকার ছেলেগুলোর দোষ আপনি নিজের ঘাড়ে চাপাবেন না। আপনি আপনার পাওনা পেয়ে যাবেন। আজ রাতেই আমি ফার্স্ট ট্র্যাকে আপনার একাউন্টে যুক্ত করিয়ে দিচ্ছি। আপনি আমার অনেক বড় একটা উপকার করেছেন। এর ঋণ কোনও কিছুর বিনিময়ে শোধ করা সম্ভব নয়।
☺ আমি কি আপনার পরিচয়টা জানতে পারি?” বিগলিত কণ্ঠে ডিউক বলল।
☻ হুম... পারবেন। তবে এখন নয়। আপনাকে অন্তত কাল সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
                                    –––––––––––○•○•○–––––––––––

প্রাণাধিক প্রিয় রূপম,
আশা করি তুমি খুব ভালো আছো। খুব সুখে আছো। তোমাকে ভালো থাকতেই হবে। তোমার মতো ছেলে শান্তিতেই থাকতে পারে। তাদের স্থান হয় স্বর্গে। আমি জানি, তুমি খুব একাকীত্ব বোধ করছো। শুন, আমি কথা দিচ্ছি- তোমাকে এভাবে বেশিক্ষণ অতিবাহিত করতে হবেনা। বুঝে নিও।
আমি একটুও অনুতপ্ত নই। বরং আমি গর্বিত তোমাকে সেই মেয়েটার খপ্পর থেকে মুক্তি দিতে পেরে। আমাকে তুমি ভুল বুঝনা প্রিয়। আমি তোমার ভালোই চেয়েছি। ভালোই করেছি। ওই মেয়েটা একটা হিংসুটে। তুমি আমাকে ভালোবাসো জেনে সে তোমাকে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল। তুমি তার জ্বালে বন্ধি হয়েছিলে। তাই।
জানো! ওরা তোমাকে অনেক মেরেছে। আমি তোমাকে মারতে বলিনি। তোমার অনেক কষ্ট হয়েছে। তাইনা...। অনেক ব্যাথা পেয়েছিলে তুমি। এটা জানতে পেরে আমি খুব কেঁদেছি। এখনও কাঁদছি। আর কাঁদবোনা। তোমাকেও আর একা একা পড়ে থাকতে হবে না সোনা...। আমিও আসছি। তোমার কাছে।
আমরা দু-জনে হাতে হাত রেখে, দূর আকাশের তারাদের লুকোচুরি খেলা দেখবো। আকাশের সব কয়টা তারা একটা একটা করে গুণবো।
কী মজা হবে তখন। লক্ষ্মীটি আমার। আর একটু অপেক্ষা করো। আমি আসছি...


উপরের চিঠিটা পাওয়া গেছে নিশির হাতের মুঠোয়। এটা লেখার পর ও বোধ হয় বেশি সময় পায়নি। রিডিং টেবিলে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে গিয়েছিল। চিরনিদ্রায়। চলে গেছে সে এক অসীম জীবনে। এক হাতে চিঠি; অপর হাতে কফির মগ। এখনও কিছু কফি অবশিষ্ট্য রয়েছে। টেবিলের মাঝে পড়ে আছে বিষাক্ত ঘুমের অষুধ নিকোটা’র প্যাকেট। রিডিং টেবিলটা ছিল ওর বেডরুমেই। অনেক বেলা হবার পরও যখন নিশি রুম থেকে বের হচ্ছিলনা, দরজা ভেঙ্গে দেখা গেল সে ঘুমিয়ে রয়েছে পড়ার টেবিলে। সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ল খবর। টিনা অনুতপ্ত হলো। ডিউক বুঝতে পারল সে কার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। এরপর ডিউক আর কোনও খুন করেনি। জীবনটা যে আসলেই সিগারেটের ধোঁয়া। চোখের সামনে দিব্যি দেখা যায়। অথচ একটু পরেই তা হাওয়ায় মিলিয়ে যায়।


▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌▌
খবরে প্রকাশঃ
সকাল ১০:০৫। রবিবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০০৭।
বিশিষ্ট তরুন গল্পকার এবং ব্লগার রূপম গতকাল রাতে রহস্যজনকভাবে খুন হয়েছেন। রাতেই ডিএমপি পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে রূপমের মরদেহ আজ সকালে গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গায় স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। গুলিবিদ্ধাবস্থায় খুন হলেও তার শরীরে মারধর ও অনেক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তার সর্বশেষ গার্লফ্রেন্ড এবং তার হবু স্ত্রী টিনা শ্যামপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড মামলা দায়ের করেছেন।
রেজা ঘটক, ব্লগারনিউজ২৪.কম।

নিউজ আপডেট:
দুপুর ১২:১০। রবিবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০০৭।
গল্পকার ও ব্লগার রূপম হত্যাকান্ড রহস্য নাটকীয় মোড় নিয়েছে। এই খুনে তার প্রেমিকা নিশির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তবে প্রকৃত খুনি এখনও ধরাছোয়ার বাইরে। ধারণা করা হচ্ছে- ব্যক্তিগত মনোমালিন্যের কারণে নিশি কোনও পেশাদার খুনি দ্বারা তাকে খুন করিয়েছিলেন। আজ দুপুরে নিশির একটা সুইসাইড নোট প্রকাশ হবার পর এমনটাই বলেছেন তদন্তকারী দল। একই সাথে নিশির বান্ধবী ও রূপমের সাময়িক প্রেমিকা টিনা তার গতকালের দায়ের করা তার মামলাটি তুলেন নেয়। তবে এই ঘটনায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে একই মর্মে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত চলছে আপন গতিতে।
রেজা ঘটক, ব্লগারনিউজ২৪.কম।

উৎসর্গঃ
প্রিন্স হেক্টর, অপু তানভীর, দিকভ্রান্ত*পথিক কে..


বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

অপরাজিতা..তুমি অপরূপা..চির অতুলনীয়া... :)



অনেক ভেবেছি
তবুও সমাধান খুঁজে পাইনি
অনেক অংক কষেছি
কোনও কুল কিনারা করতে পারিনি।
তোমার হঠাৎ এমন বদলে যাওয়া
আমা হতে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া
অকারণে- যদিও জানিনা. কী কারণ তার
আমি জানিনা- তোমায় কোনও দুঃখ দিয়েছি কিনা!
নিজের অজান্তে অবচেতন মনে
তোমায় ব্যথা দেইনি তো আবার???
তাহলে স্যরি বলছি, জেনো...

রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

তবুও জোছনা দেখি

 
আমার মন ছুটে যায়
চলে যায় তার কাছে
আমি মনকে বোঝাতে পারিনা
বেধে রাখতে পারিনা
তুমি কী জানো? সে কে?
তাকে আমিও জানিনা?
কোথায়, কতো দূর...

রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

গান শুনছি :p :P



বাপ্পিদা'র 'বোঝেনা সে বোঝেনা' শুনছি,
অনেকবার শুনলাম। আরও শুনবো। 
আমি নিজেও জানিনা, কেন এই গানটা বার বার শুনছি|
গানটা অনেক ভালো লাগে শুনতে, 
যেন মনের কথাগুলোই গানে উঠে এসেছে।
গীতিকার সৌমিত্র কুন্ডুর লেখা এই গানে সুর করেছেন বাপ্পি লাহিড়ি। গেয়েছেন অণ্বেষা। কিন্তু পরে আবার বাপ্পিদা-ই গেয়েছেন গানটা। গানের কথাগুলো মনকে ছুঁয়ে যায়।

রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৩

তসলিমা নাসরিন। জন্মদিনে আপনাকে অসংখ্য শুভেচ্ছা


দিল্লী, ৩০শে জুলাই, ২০১৩ খ্রিঃ

প্রথম স্ত্রীর অসুস্থতার দরুণ রজব আলী আরেকটি বিয়ে করেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রী ইদুল আরা। ধর্মপ্রাণ এবং খুবই সাধারণ একজন গৃহবধূ তিনি। তারা কোনও দিন ভাবেননি তাদের সন্তানদের কেউ আজ বিশ্বব্যাপী আলোচিত বা সমালোচিত, নন্দিত অথবা বিতর্কিত যাই বলি- জগদ্বিখ্যাত হতে পারবে। রজব আলী একজন চিকিৎসক। পাশাপাশি এলাকার মোড়ে তার একটা ঔষধের ফার্মেসি ছিল। টিনের তৈরি। সাংসারিক দিনকাল তার খুব ভালোই কাটছিল। থাকতেন ময়মনসিংহ জেলা শহরে। এমনই সময় ১৯৬২ সালের ২৫শে আগষ্ট তার দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রথম সন্তান একটি কন্যা জন্মগ্রহণ করে। চার ভাই-বোনের মাঝে তিনি তৃতীয়। তারা এই মেয়েটির নাম রাখেন "নাসরিন জাহান তসলিমা"।

শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৩

তুমি নেই তাই


পরমিতা
হয়তো বা আজ রাতে
হয়তো বা তোমায় একটা চিঠি লিখতে পারি
তোমার অবর্তমানে আমার অনুভূতিগুলো সাজাবো তাতে।
আমার ছেলেমানুষি আর পাগলামি কথাগুলো তুমি পড়ে হাসবে।
হয়তো বা তোমায় নিয়ে আজ রাতে একটা গল্প লিখতে পারি।
আমাদের শীতল কফি খাওয়া। টিপটিপ বৃষ্টিতে ভেজা।

রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৩

স্মৃতির ক্যানভাসে হারিয়ে যাওয়া ছবি




মাঝে মাঝে খুব আবেগপ্রবণ হয়ে যাই। স্মৃতির ক্যানভাসে বাঁধানো ধূলোমাখা অস্পষ্ট ভাবনাগুলো কিঞ্চিত ভেসে ওঠে। বাদলদিনের ঝড়ো বাতাসের ঝাপটায়। জানলার শার্শি ভেদ করে আসা দমকা হাওয়ার ধাক্কা লেগে যখন বাতায়নের ঝুল-পর্দাটা আচমকা ছুটে আসে। দেয়ালে লটকে থাকা পোকায় খাওয়া কাষ্টে জড়ানো জল রঙে আঁকা বহু পুরাতন চিত্রগুলোকে আলতো করে ছুঁয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০১৩

Are You Cannot See Bangla? Or Font Missing?... নেটে বাংলা দেখতে সমস্যা হচ্ছে?...


Welcome...

First Download  the "Solaiman Lipi" Font.
Or, go to This link and click "Download" button.
So "solaimanlipi.zip" file will downloaded on your PC/Lappy. 
that contains "Solaiman Lipi" Font. then Extract the Zipped file. 

Now copy this font.



Now go to Control Panel and again go to fonts folder and Paste this font.


* For Mac version Download the font and configure it according to Mac OS.


Copy and paste it to your system's "Fonts" directory. You can find this directory by two simple ways:

(1). Start > Run > type "fonts" and click OK




(2). Start > Control Panel > fonts


And paste it in "Fonts" folder. then refresh your desktop. its OK. 

 

Preview of Bangla Opentype Font SolaimanLipi are :

 


সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০১৩

অর্থহীন

চাঁদের হাট। শুনতে খারাপ লাগে না। বেশ বড় একটা গ্রাম। জেলা শহরের সদরে থাকার কারণে সরকারী কলেজ, সদর হাসপাতাল, বাস টারমিনাল, পুলিশ ষ্টেশন, আদালত সহ অনেক কিছুই রয়েছে এই গ্রামে। পৌরসভার মাঝ থেকে শুরু করে একেবারে শেষপ্রান্তে চরের কাছাকাছি গিয়ে থেমেছে এর সীমানা। দুপাশ দিয়ে চলে গেছে পিচঢালা বহু পুরানো দু'টি পথ। উত্তর পার্শ্বে জেলা শহরের মহাসড়ক। পশ্চিমে চরাঞ্চল। গাঁয়ের মধ্যখানে চিড় ধরিয়েছে চিকন একটি খাল। সোজা গিয়ে মিশেছে বদি চৌধুরীর হাটে। এই গ্রামের জনসংখ্যার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ দেশের বাইরে থাকে। এদের অনেকেই বছরে দু-একবার এসে বেড়িয়ে যায়। সাধারণতঃ গ্রামের মানুষের যা স্বভাব থাকে তা তো আছেই। বরং এই গ্রামের মানুষের আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০১৩

দোটানা মন

: প্রস্থান করো নাকো তুমি, যুবক
আমার বটের পত্রছায় জুড়িয়ে দেবো তোমার প্রাণ
তুমি শুনবে শব্দের ঝংকারে সৃজিত অনেক কবিতা গান
নিবে বিচিত্র সব চিত্র, গল্পের সম্ভার। ভুরি ভুরি রত্নের বিরল ভান্ডার
পাবে অনেক নবীন খেলোয়াড় আর ফিরে আসা প্রবীণ বন্ধুদের
এতো কিছু তুমি কোথায় পাবে শুনি!

নারীর বৈষম্য কথকতায় ধর্মের অপ-ব্যবহার

প্রথম প্রকাশঃ ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
সামহোয়্যারইন ব্লগ












___________________________________________________

... ... "মহিলা তেঁতুলের মত-তেঁতুলের মত-তেঁতুলের মত।" ... ... ...
হাহাহা। এই উক্তিটা এতোক্ষণে প্রায় সবাই জানে। এই ব্যাপারে নতুন করে কিছু বলার নেই। এখানেও মহিলারই দোষ। কারণ, নারী পর্দা করে চলেনা। বাস্তবতা কি আসলে তাই?
গত কয়েকদিনে এই ব্যাপারে বহু তর্ক-বিতর্ক দেখেছি, শুনেছি। তবে মজার ব্যাপার হলো- নারীরা মূলতঃ এই ব্যাপারটায় বৈষম্যের শিকার। কারণ, নারীকে এতোকিছু যে বলা হচ্ছে, তা শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে পর্দার জন্য। অথচ এই পর্দা প্রথা শুধু নারীর একার নয়, পুরুষেরও। (বলা বাহুল্য, পর্দা স্রেফ পোষাকেই সীমাবদ্ধ নয়।) পোষাক ছাড়াও পর্দা হতে পারে। পর্দার ব্যাপারটা হলো নিজের চোখে, নিজের মনে। কিন্তু আমরা পুরুষকে কিছুই বলি না। ধর্মীয় নেতারাও এই ব্যাপারে চুপ। ফলে দেশে একটা অলিখিত রেওয়াজ বহুদিন ধরেই চলে আসছে। নারীকে ঘরে থাকতে হবে। লুকিয়ে থাকতে হবে। নইলেই সমূহ বিপদ। পর্দা না করলে নারী ধর্ষিতা-ও হতে পারে। অন্যদিকে পুরুষকে ধর্মীয় বিধি নিষেধ সম্পর্কে কিছুই বলা হচ্ছে না।

সোমবার, ২২ জুলাই, ২০১৩

আমার তুই





কেন মিছেমিছি দূরে সরিয়া থাকো
বারেবারে কেন অভিমান করো
আমি যে তাহা সইতে নারি...

দূরে থেকে কাছে– কাছে তবু দূরে
এপারে-ওপারে দুজন দুপাড়ে
সংযোগটুকু যে নদীর বারি।

শনিবার, ২০ জুলাই, ২০১৩

পোস্ট বিপর্যয় বনাম সামু'র প্রসেসিং প্রবলেম

প্রথম প্রকাশঃ ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৮ 

সামহোয়্যারইন ব্লগ

 

কয়েক মাস আগের কথা। তখন সামহোয়্যারইন ব্লগে প্রায়ই লগিন সমস্যা হতো। সেই সময়ে কোনও একজনের অনুরোধে একটা পোস্ট লিখেছিলাম। এটাই সেই পোস্ট। এই পোস্ট টা দিয়ে তখন আমিও খুব উপকৃত হয়েছিলাম। সামু'র "উৎকৃষ্টতম বন্ধু " lazarus নামের একটা

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০১৩

বরষার আগমনে

প্রথম প্রকাশঃ ১৮ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

সামহোয়্যারইন ব্লগ


 [মহান প্রাণ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের "বর্ষা-বিদায়" পড়িবার পর]

আজি বরষা-বাদল দিনে
নব সাজে তুমি আসিয়াছ ফিরে
পুব অভিসারে। তব জল সিঞ্চনে
শ্রাবণের নদী উঠিবে ভরিয়া
উচ্ছাস ভরা জলরাশি দু-পাড় ভাসাবে আবার
কলকল জলে নৌকা বাইবে মাঝি,
যাবে অনেক দূরে।
গলা ছেড়ে গাইবে ভাটিয়ালি গান।

পরিবর্তিত রূপ

প্রথম প্রকাশঃ ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:০৩

সামহোয়্যারইন ব্লগ


একপাশে সাগর। ওটা কোন সাগর! ঠিক ঠিক মনে আসছেনা তার। ওপাশে মরুভূমি। সাগর আর মরুর মাঝে একটা ছোট্ট উদ্যান। কয়েকটা গাছ রয়েছে সেখানে। আকাশি? হবে হয়তো। না হলেও কিছু যায় আসে না।

অনেক অনেক আগের কথা। একটা সময়। এইখানে। এই গাছটায় ছিল হাজারো পাখিদের আনাগোনা। বাবুই, টিয়া, শালিক, ময়না সহ আরও কত শত শত অজানা দেশের নাম না জানা অনেক অনেক অচেনা পাখিদের কুজনে সরব থাকতো এই বাগানটা। ওরা খেলা করতো। গাইতো গান। ফুলে ফুলে ওড়ে বেড়াতো। কিন্তু ওদের কাউকে কোত্থাও দেখা যাচ্ছে না আজ। যেনো হারিয়ে গেছে কোনও অজানায়।

আমার চোখে ফ্রেডা ওয়ারিংটনে’র “Dracula The Undead” বা (রিটার্ন অভ ড্রাকুলা)

প্রথম প্রকাশঃ ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৫২

সামহোয়্যারইন ব্লগ



প্রাক-কথনঃ
বিশ্ব বিখ্যাত হরর ঔপন্যাসিক ‘ব্রাম স্টোকারে’র কালজয়ী উপন্যাস- “ড্রাকুলা”। এটুকু হররপ্রেমীদের সবারই জানা আছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকরতম পিশাচ কাহিনী। বইটি প্রথম প্রকাশ করা হয় অক্টোবর, ১৯৭৯ সালে। বাংলা ভাষায় এর অনুবাদ করেন রকিব হাসান। বইটির সার সংক্ষেপ হলো নিম্নরূপ:
“কাউন্ট ড্রাকুলা” নামক এক পিশাচ। মানুষের রক্ত যার খাদ্য। স্থানীয় মানুষ তার নাম শুনলে ক্রুশ ছুঁয়ে ঈশ্বরের আশ্রয় প্রার্থণা করে; অথবা শূন্যে ক্রুশ চিহ্ন আঁকে। ট্রান্সিলভেনিয়ার দুর্গম অঞ্চলে কার্পেথিয়ান পর্বতমালার ভেতর কোনও এক পাহাড়-চূড়ায় অবস্থিত প্রাচীন এক বিশাল দূর্গে তার বাস। লোকেরা ওই দূর্গকে "ক্যাসল ড্রাকুলা" বলে থাকে। দুর্গের নিচে অবস্থিত অন্ধকার সমাধিতে একটা কফিনের ভেতর। সভ্য দুনিয়ার রক্তের লোভে সে লন্ডনের “কারফাক্স এ্যাবি”তে আস্তানা গাড়ল। এদিকে লন্ডনের বিভিন্ন স্থানে অদ্ভুত সব কান্ড ঘটতে লাগল। লন্ডনগামী রাশিয়ান মালবাহী জাহাজ ডিমেটারের দশ নাবিকের মধ্যে নয়জনই রহস্যজনকভাবে উধাও।

একটি লাশের আত্মকাহিনী

প্রথম প্রকাশঃ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

সামহোয়্যারইন ব্লগ



আমি পূজা। বয়স ২০। অবিবাহিত। গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা। বাড়িতে আমার একমাত্র মা আছে। তাঁর দেখাশুনা আমাকেই করতে হয়। আমি একজন গ্রার্মেন্টস কর্মী। সাভারের রানা প্লাজার একটা গ্রার্মেন্টস কোম্পানীতে কাজ করতাম। মোটামুটি ভালোই কাটছিল দিনকাল। কিন্তু এটাও বোধ হয় ভাগ্যের সহ্য হলনা। ভাগ্যটা যেন আমাকে কষে একটা চপেটাঘাত করল। গত ২৪ এপ্রিল সকালে গার্মেন্টসে গিয়ে দেখি গেইটের বাইরে অনেক মানুষ। আমারই মতো সবাই শ্রমিক। তাদের চোখে-মুখে ভয় ও বিরক্তি উভয়টাই দেখতে পেলাম আমি। কয়েকজনকে দেখলাম চলে যাচ্ছে। জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে। ওরা বললো- “বিল্ডিংয়ের কয়েক জায়গায় ফেটে গেছে। সরকার ওতে ঢুকতে নিষেধ করেছে। তারপরও মালিক আমাদেরকে ভেতরে যেতে বলছে। আমরা যাবোনা।” এই বলে চলে গেল। কয়েকজন শ্রমিক ভেতরে গিয়েও ফিরে আসছে।

এই বর্ষণ সন্ধ্যায়

প্রথম প্রকাশঃ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

সামহোয়্যারইন ব্লগ



খুব বৃষ্টি হচ্ছে। ঝুম বৃষ্টি। কিন্তু কংক্রিটের ঢালাইকৃত ছাত। ওতে বৃষ্টির বড় বড় ফোটাগুলো ছট্ ছট্ শব্দ তুলে ছড়িয়ে পড়ছে। অঝোরে। আমি ওদের পাশে দাঁড়িয়ে। তুমিও সাথে। খুউব উপভোগ করছি আমরা। বৃষ্টিদের ঝাঁপিয়ে পড়া।
# মিতু!
## কী...
# তোমার কি মনে পড়ে! আমাদের যেদিন প্রথম দেখা হয়েছিল, সেদিনের কথা?
## হুম... মনে আছে মানে... সারা জীবন মনে থাকবেন। সেদিনটাও তো এমন বর্ষণমূখর ছিল!
# তুমি দাঁড়িয়ে ছিলে বৃষ্টিতে। কোনও কারণ বশতঃ তোমার কাছে ছাতা ছিলনা। তুমি সিএনজি’র অপেক্ষায় ছিলে।

ভারসনঃ– Ɩㄣᄅ0.01.01.001

প্রথম প্রকাশঃ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫২

সামহোয়্যারইন ব্লগ




হয়তো বা,
আমি তোমার যোগ্য ছিলাম না
ছিলাম না তোমার ভালোবাসার যোগ্য
তোমার প্রেমময় হৃদ্যতার কাছে আমি পরাজিত
হতে পারে, তাতে কী–––
তোমার চন্দ্রালোকের একটুখানি আলোকচ্ছটা
যা ছুঁয়ে গিয়েছিল আমার হৃদয়ে
মরমের ভাঁজে ভাঁজে
কোনও এক কালে––– স্মরণের কালে

কাউন্ট ড্রাকুলা–– ৩

প্রথম প্রকাশঃ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬| 

সামহোয়্যারইন ব্লগ



সঞ্জিব হায়দারের ডায়েরী থেকে
২ এপ্রিল, ১৮৩৭

আজ শরীরটা অত্যন্ত দুর্বল। গলার ক্ষতটা এখনও শুকায়নি। খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছি। তবুও প্রতিদিনের মতো আজও ডায়েরী লিখতে বসলাম। গতকাল রাতে এক অদ্ভূত অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। এমনিতেই গত কয়েকদিন যাবৎ আশপাশের পরিবেশে কিছু একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। গোধূলীর ম্রিয়মান সূর্যটা পশ্চিমাকাশে গিয়ে কয়েক মিনিট স্থির হয়ে থাকে। এরপর হঠাৎ করেই হারিয়ে যায় দিগন্তের পেছনে। মনে হয় কেউ ওটার ঘাড়ে ধাক্কা মেরে অধোমুখে ফেলে দিয়েছে। রাতের আকাশটাকে দেখলে মনে হয় যেন অন্য কোনও পৃথিবী। চাঁদের আলো যেন প্রকৃতিতে অপূর্ব সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে।

কাউন্ট ড্রাকুলা–– ২

প্রথম প্রকাশঃ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৫

সামহোয়্যারইন ব্লগ



কাউন্ট ড্রাকুলার ডায়েরী থেকে
৩১ মার্চ, শেষ রাত্রি

(পূর্ব প্রকাশিতের পরঃ)
প্রতিটা রাত আমার শক্তি কেবল বেড়েই চলেছে। ধীরে ধীরে আমি প্রবল ক্ষমতার অধিকারী হয়ে উঠছি। কিছু কিছু অপার্থিব শক্তি যুক্ত হচ্ছে আমার মাঝে। নিজস্ব কিছু ক্ষমতা সৃষ্টি হচ্ছে দেহে যা আমার পরাক্রম বেষ্টনী সীমাকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ থেকে চতুর্গুণে রূপান্তরিত করে যাচ্ছে। কিন্তু আমার সকল ক্ষমতার আয়ু কেবল সূর্য ডোবার পর থেকে সূর্য ওঠার আগ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। কারণ, আমি এখন জীবন-মৃত সত্তার অধিকারীদের একজন। আর যারা জীবন-মৃত, তারা দিনের বেলায় ঘুমিয়ে থাকে। তাই দিনে তারা অসহায়, নিঃস্ব। তখন তাদের কোনও ধরনের শক্তি কিংবা ক্ষমতা থাকেনা।

কাউন্ট ড্রাকুলা–– ১

প্রথম প্রকাশঃ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২১| 

সামহোয়্যারইন ব্লগ



কাউন্ট ড্রাকুলার ডায়েরী থেকে
২৯ মার্চ

সামনে অনেকগুলো মাঠ। পেছনে কয়েকটা মাঠের পর লোকালয়। এই কবরখানায় এসেছি প্রায় ৩ দিন হতে চলল। দিনের বেলা কিছুটা বিশ্রাম আর রাতের আঁধারে দূর-দূরান্তে বিচরণ। আপাতত এই দু'টোতেই সীমাবদ্ধ থাকছি। আরও একটু ধৈর্যের সাথী হই। ক্ষতি কী তাতে। অনন্তকাল তো হাতেই রয়েছে। আরও কিছুটা শক্তিশালী হয়ে নিই।

বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০১৩

রিটার্ন অব ইখতামিন

প্রথম প্রকাশঃ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২|

সামহোয়্যারইন ব্লগ




দেহত্যাগের পূর্বে...
১১ চৈত্র, ১৪১৯ মোতাবেক ২৫ মার্চ, ২০১৩। শমশেরাবাদ।

আমার একটা অভ্যাস। বদভ্যাসও হতে পারে। তবে এর পার্শপ্রতিক্রিয়া রয়েছে অবশ্যই। আর হ্যাঁ, সাইড এফেক্ট একমাত্র ভালো জিনিসেরই হয়ে থাকে। যাই হোক সেই অভ্যাসটি হলো- আমার নিজের ব্যাপারে বেশ ঢাক-ঢোল পিটিয়ে মানুষকে জানান দেয়া। এতে করে নিজেকে স্বচ্ছ রাখা যায় বলে আমার বিশ্বাস। এই তো সেদিন। কী একটা কারণে যেনো একটা কবিতা (কেউ কেউ বলেছে তাই) পোস্ট করেছিলাম। ওহ, হ্যাঁ! মনে পড়েছে।

আমি অপারগ।

প্রথম প্রকাশঃ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১

সামহোয়্যারইন ব্লগ




(১)
আমি দাঁড়িয়ে আছি
রেলিং বিহীন ছাদে
হাতে ছোট একটা কাগজের টুকরো
ওতে কী যেনো লেখা রয়েছে
আমি ঠিক বুঝতে পারছি না।
আশাহত আমি মহাকাশের ঠিকানায়

প্রেমিকের কাছে প্রেমিকার বিয়ের অঙ্গীকারনামা...

প্রথম প্রকাশঃ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬| 

সামহোয়্যারইন ব্লগ


     
আমি মুন্নি, পিতা- খন্দকার দেলোয়ার, মাতা- মনোয়ারা বেগম এর কনিষ্ঠ কন্যা। আমি এই অঙ্গীকার করছি যে, নিম্ন শর্তগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো।
                               শর্তাবলী
১। আমাদের বিয়ের ব্যাপরটা কেউ কখনও জানতে পারবে না।
২। যতদিন আশিকুর রহমান না চাইবে, ততদিন পর্যন্ত কোনও সন্তান গ্রহণ করবো না।
৩। আমাদের বিয়ে সংক্রান্ত যত ডকুমেন্ট আছে তা মনিরুজ্জামান ভাই এর কাছে থাকবে।

শিরোনামহীন!!!

প্রথম প্রকাশঃ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৭| 

সামহোয়্যারইন ব্লগ



     

অফিসে বসে আছি। কাজ না থাকলেই ব্লগ। কিভাবে যে আমি ব্লগের প্রেমে পড়েছি, তা আমি নিজেও জানিনা। হয়তো নতুন বলে। নব্য প্রেম বলে কথা! তার ওপর সামু ব্লগ! সেটার তো মজাই আলাদা। কী নেই!! ছবি শেয়ার, প্রাইভেসি চ্যাট, কনফারেন্স চ্যাট থেকে শুরু করে উন্মুক্ত আড্ডা কতো কিছুই তো করা যায় এখানে। ;) তবে ফেইস টু ফেইস চ্যাট করা যায় না। :( হুমম. সেটার প্রয়োজনও নেই। তবে হয়তো আরও কয়েক বৎসর পর সেই ব্যবস্থাও হবে। :-* :P B:-/ যাই হোক, ব্লগ দেখছিলাম। এমন সময়

শব্দের বালুকণাগুলি আজ রাজপথে পিষে গেছে...

প্রথম প্রকাশঃ১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯|

সামহোয়্যারইন ব্লগ


     

সেই সব দিনগুলি কেনো জানি
ভাবনার পাতা থেকে যায় হারিয়ে
শুধু মনে থাকে নীপ বালিকার কথা
খুব বেশিদিন হয়নি,
তবু যেনো স্মৃতি-পাতা...

চিলেকোঠাবৃত কল্পকাব্য।

প্রথম প্রকাশঃ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬|

সামহোয়্যারইন ব্লগ



      

ফিনফিনে তুষারে ঢাকা,
বরফাচ্ছাদিত
কানাডীয় কোনও এক অঞ্চলে
শুক্লপক্ষের পূর্ণ-চন্দ্রে লালিত
আলোকিত রজনীর মধ্যমায়
নীপ-বনে বৃক্ষ তলায়
বাতায়নখানি মেলিয়া
অদ্বিতীয়ার চাঁদটির দিকে রয়েছি চাহিয়া।

নদিনীর তটে চিরকুট গাঁথা…

প্রথম প্রকাশঃ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩১| 

সামহোয়্যারইন ব্লগ

  

          

চারিদিকে কেবল মাঠ আর মাঠ। ধূ-ধূ তেপান্তর। ধোঁয়া ধোঁয়া দেখা যায়। তবে কোথাও কোন গাছ-পালা নাই, তরু-লতার দেখাও নাই। আকাশটাকেও কেমন ফ্যাকাশে দেখাইতেছে। সূর্যের দেখা নাই। এখন কি সকাল? নাকি বিকাল! তাহাও বোধ হয় ধারণা করিতে পারিতেছিনা। আমি শুধু হাটিতেছি। হাটিতেছি কিছু একটার টানে। যাহা অজানা। অথচ অতি চেনা কোনও এক আকর্ষণে। ...

মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০১৩

আলেম সমাজ আজ নিজেদের ভুলে কঠিন ষড়যন্ত্রের কবলে

প্রথম প্রকাশঃ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৯
সামহোয়্যারইন ব্লগ


গণজাগরণ আন্দোলন ঠেকাতে বিএনপি-জামায়াতের মদদে হেফাজতে ইসলাম গঠনের পর লিখেছিলাম

অনুক্রমণঃ পেছনের কথা
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
পাঠক! আপনারা জানেন। গত ৫ই ফেব্রুয়ারী ২০১৩ ইং তারিখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পাঁচ-পাঁচটি মামলায় অপরাধী প্রমাণিত হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেন, যা দেশের সর্বোস্তরের মানুষকে হতাশ ও হতবাক করে। জনমনে প্রবল ঘৃণা ও ক্ষোভের জন্ম হয়। সারা দেশের মানুষ যখন কিংকর্তব্যবিমূঢ়, ঠিক তখনই কিছু অনলাইন লেখক (ব্লগার) এর উদ্যোগে শাহবাগ চত্বরে (প্রজন্ম চত্বর) একটি গণজাগরণ মঞ্চ তৈরী করা হয়। এবং একে কেন্দ্র করে এক প্রতিবাদ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। এই ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ আসতে থাকে।

ব্লগ কি জিনিস? ব্লগার মানে কি নাস্তিক? আমরা ব্লগিং করি কেন?

প্রথম প্রকাশঃ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৭|

সামহোয়্যারইন ব্লগ

দৈনিক আমারদেশ কর্তৃক ব্লগ ও ব্লগারদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর পর লিখেছিলাম--

     
অবতরণিকাঃ
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
রাজাকারের ফাঁসির দাবীতে গণ-আন্দোলনের অর্ধ মাস পেরিয়ে গেছে। ইতোমধ্যেই আমাদের প্রাপ্তির পাতা ভরতে শুরু করেছে। তবে হারাবার খাতায়ও কিছু কিছু লিখতে হচ্ছে। আমরা তিন তিনটা প্রাণ হারিয়েছি। সেই সাথে রাজাকার, জামাত-শিবিরের অপপ্রচার আর মিথ্যা প্রোপাগান্ডা তো রয়েছেই। কতটুকু নীচ ও নিম্ন মানসিকতার হলে তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে অশ্লীল ছবি ফটোশপে এডিট করে প্রজন্ম চত্বরের নামে চালিয়ে দিচ্ছে। অপর দিকে এই সব মিথ্যাচার সরলমনা ধর্মভীরু মানুষজনের উপর প্রভাব ফেলছে। ব্লগাররা নাকি নাস্তিক!! তারা ব্লগারদের খুন করতে মিছিলেও পর্যন্ত নেমেছে। এই লেখার সূত্রপাত সেখান থেকেই।

সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০১৩

তুই রাজাকার, তুই রাজাকার

প্রথম প্রকাশঃ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১২ | 

সামহোয়্যারইন ব্লগ 

 

গণজাগরণ আন্দোলন চলাকালীন সময়ে লেখা--


     

তুই রাজাকার তুই রাজাকার
মুক্তির আশা করবি না আর
যতোই দেখাস বুলেট-বোমা
করবো না তো তোদের ক্ষমা
হুমকি-ধমকি যতোই দিবি
জুতোর বাড়ি ততোই খাবি

রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৩

শিরোনামটি অনেক ছোট

প্রথম প্রকাশঃ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৫ | 

সামহোয়্যারইন ব্লগ

গণজাগরণ আন্দোলন চলাকালীন সময়ে লেখা--

     

এসেছিলাম দাবী আদায় করতে
রাজীবকে হারাতে নয়
তাই যদি হবে, তাহলে আমরা প্রস্তুত
আমরা নিজেদের কাফনের কাপড়টুকু নিয়েই।
তবুও রাজাকারের ফাঁসি চাই...
কিন্তু শিবিরের ওই ঘৃণ্য কুকুর ছানা
ম্যানহোলের কীটতুল্য
রাজাকারের বাচ্চাগুলি এখনও বঙ্গে কেনো?

শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৩

অতিপ্রাকৃত গল্প: অশরীরি সঙ্গিনী

প্রথম প্রকাশঃ ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৪ | 

সামহোয়্যারইন ব্লগ



     

                 ২০১৫ সাল। জানুয়ারীর কোনও এক গভীর রাত। ঘড়ির কাটা অবিরাম টিক্ টিক্ শব্দে হেটে চলেছে। প্রায় সাড়ে তিনটা। চারিদিকে শীতেল আবহাওয়া। কোথাও কোনও আওয়াজ নেই। আশপাশের কিছু কিছু বাসার অলিন্দে গুটি কয়েক বাতি জ্বলছে। আলো আধারির মাঝে এক মায়াবী রজনী। অথচ গা ছমছম পরিবেশ। পাশেই একটি হাইওয়ে। বহুক্ষণ পর পর দু-একটা গাড়ী সাঁ-সাঁ শব্দে দূরে হারিয়ে যায়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!!! আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন?

প্রথম প্রকাশ- ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫ | 

সামহোয়্যারইন ব্লগ

 

শাহবাগের আন্দোলন চলাকালীন সময়ে লেখা


            আমরা রাজাকারের ফাঁসি চাই ...
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
শুক্রবার আমার অফিস ছুটি। তাই আজ আর সন্ধ্যায় যেতে হয়নি। দুপুরেই প্রজন্ম চত্বরে গেলাম। আজ অন্যদিনের তুলনায় অনেক অনেক বেশী মানুষ এসেছে। তারা এসেছে। রাজাকারের ফাসিঁর দাবী নিয়ে। এখানে অনেক বৃদ্ধ এসেছেন। অনেক মুক্তিযোদ্ধা এসেছেন। এসেছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানরা। অনেক স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চারা এসেছে। কলেজ-ভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীরা এসেছে। এখানে এসেছেন অনেক গৃহবধু তার কোলের বাচ্চাটিকে নিয়ে। শ্রমজীবি, পেশাজীবি, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ সরকারী চাকুরীজীবি পর্যন্ত সর্বস্ততরের মানুষ আজ এখানে জমায়েত হয়েছেন। চরমপত্র পাঠের মধ্য দিয়ে মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার শপথ নিয়েছেন তারা।

যুদ্ধে যাবি, অস্ত্র খাবি! তুই বেচারা কী... করিবি!! (টুকিকাব্য)

প্রথম প্রকাশ- ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৪ | 

সামহোয়্যারইন ব্লগ


কাদের মোল্লাকে ফাঁসির আদেশ না দিয়ে যাবজ্জীবন দন্ডাদেশ দেবার পর এইটা লিখেছিলাম



দেব-দেবীদের মুণ্ডুপাড়ায়
দেশের মানুষ আশায় আশায়
চার দশকের ব্যাপ্তি খাসি
রাজাকারের গলায় ফাঁসি।।



আমি প্রেমময় সুখবোধে আছি - আমি তোমার নিশ্বাসে আছি - আমি আছি চন্দ্রের পরিপূর্ণতায়

প্রথম প্রকাশঃ ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫০ | 

সামহোয়্যারইন ব্লগ




আমি গোলাপের পাপড়িতে আছি
আমি শ্রাবণের বর্ষায় আছি
আমি মেঘের গর্জনে আছি
আমি আছি পাহাড়ের ঝর্ণাধারায়


একটি ঝরা পাতাঃ সজীব অথচ মৃত। শীর্ণ এবং চূর্ণ (শুকতারার জন্মকথা)

প্রথম প্রকাশ- ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫ |

সামহোয়্যারইন ব্লগ


===========================================
                                                -একটি পত্র পল্লব
'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
তিমির রজনী
সুপ্ত শর্বরী
স্তদ্ধ নির্জনে
নিকষ অমাবশ্যায়

প্রস্তর সম
শুষ্ক মৃত্তিকায়
কন্টকতর
চুরচুরে কণায়
হাটিয়া হাটিয়া

মাটিতে পদঘাত নয়-
শুধু মাটির আঘাতে
পদতল ফাটিয়া রক্তাক্ত
থেঁতলানো ক্ষত-বিক্ষত

আমায় যারা দুঃখ দেবে. তাদের তরে লক্ষ ক্ষমা... ~~~~~~

প্রথম প্রকাশ-২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৪ |

সামহোয়্যারইন ব্লগ




তোমরা আমায় কষ্ট দাও
দাও শত বেদনা.
তোমাদের আমি করেছি ক্ষমা.

তোমরা আমার নয়ন থেকে
অশ্রু ঝরাও অঝোর বেগে
তোমাদের তরে
কৃতজ্ঞতা দিলাম সঁপে..

আমায় যারা আঘাত করো
ছুঁড়িয়া দাও পাথর শত
ইহাই আমার পুষ্প বাহার.

হাতিরঝিল প্রকল্প নিয়ে কয়েক ছত্র

প্রথম প্রকাশঃ ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬ | 

সামহোয়্যারইন ব্লগ

 -------------------------------------------

কী চমৎকার- যাই বলিহারি!!!




কতটুকু বঞ্চনার পর একটি ভালো মেয়ে- একটা নষ্টা কলগার্ল হতে পারে!!! কিন্তু তাঁরাও তো এই সমাজেরই একটা অংশ... তোমাদের জন্য শুধুই দুঃখ... :|| :|| :||

প্রথম প্রকাশ : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪২ |
সামহোয়্যারইন ব্লগ



মানুষ যে কত নিষ্ঠুর হতে পারে- তার কিছুটা অনুমান করতে পারলাম। গতকাল রাতে এবিসি রেডিও-তে "জীবনের গল্প" নামে একটা অনুষ্ঠান হয়েছিল। আগন্তুক অতিথি বর্ষা (ছদ্ধ নয়, আসল নাম), একজন কলগার্ল। তিনি তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া ব্যথাতুর অধ্যায় গুলোর বর্ণনা দিয়েছেন। সংক্ষিপ্ত তুলে ধরলাম (আনফরচুনেটলী আপনি যদি কাল রাতের ইপিসোডটি মিস করে থাকেন- তাহলে আপনার জন্য)।

শিরোনামহীন


এখন ... ( পর্ব ৯ , ২৯/১২/২০১২ )

কুহেলিকায় ঝাঁপসা হয়ে আসছে আলো
যদিও সকালে একটু খানি রোদের ঝিলিকে
আশার অভ্যুত্থান বেশ ছিল .
কিন্তু আর তা দেখছি না .
ওহে বিধাতা .. একি হলো ...
কোথায় তুমি ?

I am Shah Rukh Khan

এই সময়ের বহুল সমালোচিত, এক ধরনের আলোচিত (?) কোন এক ব্যক্তি।যাকে অনেকেই ধর্ম যাজক ভাবেন। অনেকে ফেইসবুক নবী। আবার অনেক গর্দভ তাকে ডিজিটাল (বলদ) নবী মনে করে (যদিও অনেক বোকা তাকে মিঃ বিনের নতুন রূপ মনে করে)। তবে সবাই তাকে কট্টর নাস্তিক মানেন। তিনি নিজেও তাই (নাস্তিক সম্রাট) দাবী করেন। কারণ নাস্তিকেরা নাকি উদার মনের মানুষ (?)। তারা সদা সত্য বলেন। তারা স্পষ্টভাষী। তারা মিথ্যার ধার ধারেন না। গত দু'বছরে তাঁর বেশ কিছু অনুসারীও জুটে গেছে।

পতন

প্রথম প্রকাশ : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৪৭ (সামু ব্লগ)

দেখেছি পর্বতের ভেঙ্গে পড়া।
প্রকান্ড পাথরের লুটোপুটি
উপত্যকার হাহাকারে উড়ে যাওয়া বালুকারাশি।
ভূ-কম্পন যার নিত্যসঙ্গী।।

দেখেছি নির্জন মরু-ভূমি।

টোকাই নিয়ে কিছুক্ষণ

৩রা এপ্রিল, ২০০৮। দুপুরের আকাশে চৈত্রের কড়া রোদ ছিল। এখন আর নেই। ৪টার পর হতে দখিনা বাতাসে মেঘমালা উড়ে এসে মাথার উপর আকাশে জমা হতে থাকে। এখন ঘড়ির কাটায় ৫টা বাজে। কোথাও রোদ নেই। মেঘে ছেয়ে গেছে গোটা আকাশ। একটু পর পর বাতাস এসে রাস্তার ধূলোবালি উড়িয়ে নিতে লাগলো। মধুমিতার পাশ দিয়ে ব্রাদার্স ক্লাবের দিকে হেটে যাচ্ছি। দেখি রাস্তার ধারে একটি ছেলে। বয়স তার আনুমানিক ১২ থেকে ১৫ হবে।

বুধবার, ১০ জুলাই, ২০১৩

কওমি মাদ্রাসায় নকল (?)


ভেজালের সঙ্গে আমরা কম-বেশি সবাই পরিচিত। খাদ্য-বস্ত্র-যন্ত্র-প্রসাধন সব কিছুতেই এখন ভেজাল। এমনকি গুঁড়ো দুধেও। ভেজালের রাহুগ্রাস থেকে বাদ যায়নি স্কুল-কলেজ-ভার্সিটি বা আলিয়া মাদ্রাসাগুলোও। তবে একটি কথা খুব দুঃখের সঙ্গে বলছি, শুনলে অবাক হতে হয় যে- এখন কওমি মাদ্রাসাগুলোতেও ভেজাল ঢুকে পড়েছে। যদিও কওমি মাদ্রাসার ছেলেদের কর্মসংস্থান মসজিদ-মাদ্রাসা ছাড়া কোথাও নেই। তারপরও দেখা যায়, অনেক কওমি মাদ্রাসায় পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় কোনও গার্ড দেয়া হয় না। ভেতরেও থাকে শিথিল অবস্থা। যার কারণে

মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০১৩

YouTube বন্ধ হয়ে গেলে...

সামুতে প্রকাশ :২২ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৫


বেশ কিছু দিন যাবৎ বাংলাদেশে ইউটিউব বন্ধ ছিল। কিন্তু তাই বলে আমাদের প্রয়োজন শেষ হয়ে যায় নি।
নিজেদের প্রয়োজনের স্বার্থে বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে উপায় বের করে নিয়েছি। তবুও অনেকে হতাশ।
তাদের জন্য আমার এই পোস্ট। আপনি যদি ইউটিউব ব্রাউজ করতে না পারেন-
তবে আমার কাছে আপনার জন্য দুইটি সমাধান রয়েছে।