ফেরার আগে বহু আগের সেই চিলেকোঠায় একবার ঢুঁ মারতে ভুললাম না। জং ধরায় পুরানো তালাতে চাবি কাজ করছে না। অবশ্য এতো দিনে চাবিতেও মরচে পড়ে গেছে। তালাটা ভাঙতে হলো। ভেতরের ভ্যাপসা বাতাস প্রতিবাদ করে উঠলো। গুমোট গন্ধের ধাক্কায় আমি পেছনে সরে আসতে বাধ্য হলাম- যেনো কয়েক যুগ ধরে ওরা মুক্তির জন্য হাঁসফাঁশ করছিলো বন্দিখানায়। পুরোটা ঘরে মাকড়সার রাজত্বই চোখে পড়ছে। করিমকে বলে ভেতরটা পরিষ্কার করালাম।
কোথায় যেনো কয়েকটা ছবি রেখেছিলাম। ছবিগুলো খুব দরকার ছিলো। ওগুলো পাওয়া গেলো সিন্দুকে। একটা হলুদ খামও পেলাম। প্রেরকের নাম, ঠিকানা কিছুই লেখা নেই। প্রাপকের অংশ পড়ে বুঝতে বাকি রইলোনা, সে একজন মেয়ে। চিঠিটা পড়ার লোভ সামলাতে পারলামন না।