YouTube বন্ধ হয়ে গেলে...

বেশ কিছু দিন যাবৎ বাংলাদেশে ইউটিউব বন্ধ ছিল। কিন্তু তাই বলে আমাদের প্রয়োজন শেষ হয়ে যায় নি। নিজেদের প্রয়োজনের স্বার্থে বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে উপায় বের করে নিয়েছি।

তুমি নেই তাই

পরমিতা.. হয়তো বা আজ রাতে.. হয়তো বা তোমায় একটা চিঠি লিখতে পারি। তোমার অবর্তমানে আমার অনুভূতিগুলো সাজাবো তাতে।।

অতিপ্রাকৃত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অতিপ্রাকৃত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৪

অতিপ্রাকৃত গল্প: ৪ঠা জানুয়ারি


        

ঘটনাটা ঘটেছিল আজ থেকে এক বৎসর পূর্বে। আমার কয়েকজন বাঙ্গালী বন্ধু ঠিক করল– তারা এবারের থার্টি ফাস্ট নাইট সেলিব্রেট করবে ওকলাহোমার "হোটেল রুডলফে"। আমিও তাদের সঙ্গে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। এখানকার আরও কয়েকজন ফ্রেন্ড সিজান, লুসি, এলিজাবেথ, মন্টি ও টমসনও আমাদের সাথে আছে।
আমরা যথা সময়েই রুডলফে পৌঁছেছি। সব আয়োজন ঠিকমতোই করা হয়েছে। অনুষ্ঠান, আপ্যায়ন ও বিনোদনের কোথাও কোনও ঘাটতি রাখা হয়নি। আমরাও অনেক মজা করেছি। অনেক ড্যান্স হয়েছে। একটা কাণ্ড ঘটেছে। মজার কিনা বলতে পারবোনা। টমসন শ্যাম্পেনের বোতলটা এতো জোরে ঝাকাচ্ছিলো যে, একটুর জন্যে লুসির চোখে এ্যালকোহল ঢুকে যায়নি।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০১৩

একটি লাশের আত্মকাহিনী

প্রথম প্রকাশঃ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

সামহোয়্যারইন ব্লগ



আমি পূজা। বয়স ২০। অবিবাহিত। গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা। বাড়িতে আমার একমাত্র মা আছে। তাঁর দেখাশুনা আমাকেই করতে হয়। আমি একজন গ্রার্মেন্টস কর্মী। সাভারের রানা প্লাজার একটা গ্রার্মেন্টস কোম্পানীতে কাজ করতাম। মোটামুটি ভালোই কাটছিল দিনকাল। কিন্তু এটাও বোধ হয় ভাগ্যের সহ্য হলনা। ভাগ্যটা যেন আমাকে কষে একটা চপেটাঘাত করল। গত ২৪ এপ্রিল সকালে গার্মেন্টসে গিয়ে দেখি গেইটের বাইরে অনেক মানুষ। আমারই মতো সবাই শ্রমিক। তাদের চোখে-মুখে ভয় ও বিরক্তি উভয়টাই দেখতে পেলাম আমি। কয়েকজনকে দেখলাম চলে যাচ্ছে। জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে। ওরা বললো- “বিল্ডিংয়ের কয়েক জায়গায় ফেটে গেছে। সরকার ওতে ঢুকতে নিষেধ করেছে। তারপরও মালিক আমাদেরকে ভেতরে যেতে বলছে। আমরা যাবোনা।” এই বলে চলে গেল। কয়েকজন শ্রমিক ভেতরে গিয়েও ফিরে আসছে।

কাউন্ট ড্রাকুলা–– ৩

প্রথম প্রকাশঃ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬| 

সামহোয়্যারইন ব্লগ



সঞ্জিব হায়দারের ডায়েরী থেকে
২ এপ্রিল, ১৮৩৭

আজ শরীরটা অত্যন্ত দুর্বল। গলার ক্ষতটা এখনও শুকায়নি। খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছি। তবুও প্রতিদিনের মতো আজও ডায়েরী লিখতে বসলাম। গতকাল রাতে এক অদ্ভূত অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। এমনিতেই গত কয়েকদিন যাবৎ আশপাশের পরিবেশে কিছু একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। গোধূলীর ম্রিয়মান সূর্যটা পশ্চিমাকাশে গিয়ে কয়েক মিনিট স্থির হয়ে থাকে। এরপর হঠাৎ করেই হারিয়ে যায় দিগন্তের পেছনে। মনে হয় কেউ ওটার ঘাড়ে ধাক্কা মেরে অধোমুখে ফেলে দিয়েছে। রাতের আকাশটাকে দেখলে মনে হয় যেন অন্য কোনও পৃথিবী। চাঁদের আলো যেন প্রকৃতিতে অপূর্ব সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে।

কাউন্ট ড্রাকুলা–– ২

প্রথম প্রকাশঃ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৫

সামহোয়্যারইন ব্লগ



কাউন্ট ড্রাকুলার ডায়েরী থেকে
৩১ মার্চ, শেষ রাত্রি

(পূর্ব প্রকাশিতের পরঃ)
প্রতিটা রাত আমার শক্তি কেবল বেড়েই চলেছে। ধীরে ধীরে আমি প্রবল ক্ষমতার অধিকারী হয়ে উঠছি। কিছু কিছু অপার্থিব শক্তি যুক্ত হচ্ছে আমার মাঝে। নিজস্ব কিছু ক্ষমতা সৃষ্টি হচ্ছে দেহে যা আমার পরাক্রম বেষ্টনী সীমাকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ থেকে চতুর্গুণে রূপান্তরিত করে যাচ্ছে। কিন্তু আমার সকল ক্ষমতার আয়ু কেবল সূর্য ডোবার পর থেকে সূর্য ওঠার আগ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। কারণ, আমি এখন জীবন-মৃত সত্তার অধিকারীদের একজন। আর যারা জীবন-মৃত, তারা দিনের বেলায় ঘুমিয়ে থাকে। তাই দিনে তারা অসহায়, নিঃস্ব। তখন তাদের কোনও ধরনের শক্তি কিংবা ক্ষমতা থাকেনা।

কাউন্ট ড্রাকুলা–– ১

প্রথম প্রকাশঃ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২১| 

সামহোয়্যারইন ব্লগ



কাউন্ট ড্রাকুলার ডায়েরী থেকে
২৯ মার্চ

সামনে অনেকগুলো মাঠ। পেছনে কয়েকটা মাঠের পর লোকালয়। এই কবরখানায় এসেছি প্রায় ৩ দিন হতে চলল। দিনের বেলা কিছুটা বিশ্রাম আর রাতের আঁধারে দূর-দূরান্তে বিচরণ। আপাতত এই দু'টোতেই সীমাবদ্ধ থাকছি। আরও একটু ধৈর্যের সাথী হই। ক্ষতি কী তাতে। অনন্তকাল তো হাতেই রয়েছে। আরও কিছুটা শক্তিশালী হয়ে নিই।

বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০১৩

রিটার্ন অব ইখতামিন

প্রথম প্রকাশঃ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২|

সামহোয়্যারইন ব্লগ




দেহত্যাগের পূর্বে...
১১ চৈত্র, ১৪১৯ মোতাবেক ২৫ মার্চ, ২০১৩। শমশেরাবাদ।

আমার একটা অভ্যাস। বদভ্যাসও হতে পারে। তবে এর পার্শপ্রতিক্রিয়া রয়েছে অবশ্যই। আর হ্যাঁ, সাইড এফেক্ট একমাত্র ভালো জিনিসেরই হয়ে থাকে। যাই হোক সেই অভ্যাসটি হলো- আমার নিজের ব্যাপারে বেশ ঢাক-ঢোল পিটিয়ে মানুষকে জানান দেয়া। এতে করে নিজেকে স্বচ্ছ রাখা যায় বলে আমার বিশ্বাস। এই তো সেদিন। কী একটা কারণে যেনো একটা কবিতা (কেউ কেউ বলেছে তাই) পোস্ট করেছিলাম। ওহ, হ্যাঁ! মনে পড়েছে।

শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৩

অতিপ্রাকৃত গল্প: অশরীরি সঙ্গিনী

প্রথম প্রকাশঃ ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৪ | 

সামহোয়্যারইন ব্লগ



     

                 ২০১৫ সাল। জানুয়ারীর কোনও এক গভীর রাত। ঘড়ির কাটা অবিরাম টিক্ টিক্ শব্দে হেটে চলেছে। প্রায় সাড়ে তিনটা। চারিদিকে শীতেল আবহাওয়া। কোথাও কোনও আওয়াজ নেই। আশপাশের কিছু কিছু বাসার অলিন্দে গুটি কয়েক বাতি জ্বলছে। আলো আধারির মাঝে এক মায়াবী রজনী। অথচ গা ছমছম পরিবেশ। পাশেই একটি হাইওয়ে। বহুক্ষণ পর পর দু-একটা গাড়ী সাঁ-সাঁ শব্দে দূরে হারিয়ে যায়।