YouTube বন্ধ হয়ে গেলে...

বেশ কিছু দিন যাবৎ বাংলাদেশে ইউটিউব বন্ধ ছিল। কিন্তু তাই বলে আমাদের প্রয়োজন শেষ হয়ে যায় নি। নিজেদের প্রয়োজনের স্বার্থে বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে উপায় বের করে নিয়েছি।

তুমি নেই তাই

পরমিতা.. হয়তো বা আজ রাতে.. হয়তো বা তোমায় একটা চিঠি লিখতে পারি। তোমার অবর্তমানে আমার অনুভূতিগুলো সাজাবো তাতে।।

বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৪

প্রিয়তমেষু

তারপর একদিন তুমি খবর পাবে
কোনও এক শনিবার
ঘড়ির কাঁটা তখন পাঁচের ঘর ছুঁতে পারে
সূর্যটা পশ্চিমের আকাশে গা ঢাকা দিতে চাইবে।
অনেকগুলো চিল দেখা যাবে দূরের আকাশে
তুমি তখন জানবে–
মাটির খাঁচা ছেড়ে
আমার পোষা পাখিটা উড়ে গেছে
হারিয়ে গেছে।
অথবা এমনটা নাও হতে পারে।
হতে পারে
সেদিন সূর্যের দেখাও মিলবে না।
আকাশ কাঁদবে সেদিন।
একটা দূর্ঘটনা ঘটতে পারে
তোমার নিকটস্থ সড়কে।
আমি চলে যেতে পারি পৃথিবী ছেড়ে
অথবা
খবরটা তুমি নাও পেতে পারো।

বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৪

র্স্পশ

যদি হতে পারতাম তোমার বাড়ির আঙিনার ছোট্ট একটা বাগান
প্রতিদিন আমায় দেখে যেতে
যদি হতাম তোমার ঘরের বারান্দা, আমার উপর দিয়ে হেঁটে যেতে তুমি
আমি যদি হতাম তোমার বারান্দায় রাখা টবে ফোটা ফুল
প্রতি বিকেলে আমার গায়ে জল ছিঁটাতে তুমি কাছে আসতে
যদি হতাম তব পুষ্প কুঞ্জের একটি সাদা গোলাপ


শনিবার, ২১ জুন, ২০১৪

নিকষ মেঘলা


ঝুলন্ত, পশ্চিমের চন্দ্রহারা মলিন আকাশ
ঘুমন্ত, ছায়াতরু                                                          
তন্দ্রাচ্ছন্ন পত্র-পল্লব দোলে দক্ষিণের বরিষণে
আর বৃক্ষদের মাথায় বিস্তার করেছে কৃষ্ণ সাম্রাজ্য
কদাচিৎ দেড় ফুট জলের পিঠে
মৃদু বাতাসের মন্থর আলিঙ্গন ধরা দেয় না কারও চোখে
চতুর্ধারে ছোট বড় কতো জীবন্ত কাষ্ঠ। নিদ্রায় বিভোর
অথচ এক ঝাঁক বিহগ এসেছিলো রাত জেগে গল্প করতে
নির্ঘুম বিটপীর খোঁজে
দেখে এখানে কেবল দেবদারুর কালচে পাতা নড়ে
                       আমাদের দেশের গাছের পাতার হরেক বর্ণ
                       সবুজ; হালকা, ঘন ও মলিন সবুজ; নীলাভ; নীল এবং কালো

রবিবার, ৪ মে, ২০১৪

স্থায়িত্ব

শুরু থেকেই আমি তোমার সঙ্গে ছিলাম; শেষ পর্যন্ত থাকবো
মানুষের মুখ নিসৃত শব্দের কাঁটা-বান কখনও আমাদের ভিন্ন করতে পারবে না
আমি তোমায় ভালোবাসতে চাই, যতোটুকু সম্ভব হয় তার চেয়েও বেশি
যা কিছুই করো তুমি, ব্যাথা অনুভূত হবে না আমার
এখানে ভালোবাসা শুধুই আমাদের জন্য
মম হৃদয় পিঞ্জরে, মন মন্দিরে কেবল-ই তোমার ভালোবাসা
আমি তোমার মাঝে শুধু অনুরাগ দেখেছি, আর পরম স্বস্তি পেয়েছি
আমি ভুলে গেছি অতীতের সেই সময়কে যা ছিলো দূর্যোগপূর্ণ সম্পর্কের
ভুলেছি সে সব কন্টকাকীর্ণ পথ যা ছিলো বন্ধুর
আমার যেনো কিছুই ছিলো না, তোমায় পাবার আগে
আজ আমার কিছুই নেই, তোমাকে ছাড়া

from Stable Love

বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৪

তবু তুমি জেগে ওঠো ছায়া কবিতায়



    
তোমায় নিয়ে লেখা হবে এক দীর্ঘ ইতিহাস
কোনও ঐতিহাসিক তা লিখবে
তিক্ত সত্য অথবা মিঠাই ছুরির আচঁড়ে
মিশ্রিত কিছু মিথ্যা দিয়ে,
শত শত পৃষ্ঠা
লেখা হবে পোশাক শিল্প বিপ্লব দিবস
২৪শে এপ্রিলের গল্প,
অথবা ধূলো-বালির আস্তরে ঢেকে দিবে
তোমার মলিন অবয়ব
দাসত্বের উত্তরাধিকার তব ললাটের লিখন ছিলো
কাহিনীকারের কলমের খোঁচায় আহত তুমি
স্বপ্ন-আশার রক্তাক্ত ক্ষত সারাও প্রতিবার-
কোনও রকমে বেঁচে থাকতে চাও।

সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০১৪

অ স মা প্ত চি ঠি

   




ফেরার আগে বহু আগের সেই চিলেকোঠায় একবার ঢুঁ মারতে ভুললাম না। জং ধরায় পুরানো তালাতে চাবি কাজ করছে না। অবশ্য এতো দিনে চাবিতেও মরচে পড়ে গেছে। তালাটা ভাঙতে হলো। ভেতরের ভ্যাপসা বাতাস প্রতিবাদ করে উঠলো। গুমোট গন্ধের ধাক্কায় আমি পেছনে সরে আসতে বাধ্য হলাম- যেনো কয়েক যুগ ধরে ওরা মুক্তির জন্য হাঁসফাঁশ করছিলো বন্দিখানায়। পুরোটা ঘরে মাকড়সার রাজত্বই চোখে পড়ছে। করিমকে বলে ভেতরটা পরিষ্কার করালাম।

কোথায় যেনো কয়েকটা ছবি রেখেছিলাম। ছবিগুলো খুব দরকার ছিলো। ওগুলো পাওয়া গেলো সিন্দুকে। একটা হলুদ খামও পেলাম। প্রেরকের নাম, ঠিকানা কিছুই লেখা নেই। প্রাপকের অংশ পড়ে বুঝতে বাকি রইলোনা, সে একজন মেয়ে। চিঠিটা পড়ার লোভ সামলাতে পারলামন না।

শনিবার, ৮ মার্চ, ২০১৪

নীল অথবা বৃষ্টি-নৃত্য

আমি কিছু পাখি কিনেছি। পাখিগুলোর রঙ নীল। 
যখন আমার অনেকগুলো নীল পাখি হবে, তখন সবগুলো পাখি একদিন আকাশের পানে উড়িয়ে দেবো। 
তুমি তাকিয়ে দেখো- আকাশটা নীল রঙ মেখে সেদিন ভেসে থাকবে। 
তুমি আমায় খুঁজে নিও ঐ আকাশের নীল সমুদ্রে শুভ্র মেঘমালার মাঝে। 
অথবা উড়ন্ত পাখিদের নীল ডানার ভাঁজে।

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

খণ্ডগল্প: রক্তমাখা অশ্রু

https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/images/thumbs/ikhtamin_1392290494_1-ikhtamin_1392025659_1-ikhtamin_1391791542_1-stock-footage--x-blood-drops-landing-in-water-underwater-shot.jpg




রুমেলের ঈদের ছুটি এবার একটু তড়িঘড়ি করেই শেষ হয়ে গেল । শুক্রবার রাতেই ঢাকায় পৌঁছুল সে। সাড়ে এগারোটা বেজে গেছে। টিভিতে খবর দেখছে। তিন দিন যাবৎ রূপাকে অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে না। স্কাইপ ফেবু কোনটাতেই নেই। তিন দিন পর আজ হঠাৎ রূপাকে পাওয়া গেল ফেবুতে।
-আমি তোকে অনেক অনেক মিস করেছি :'(
-আমি এই ক'দিন আমার মাঝে ছিলাম নারে...
-কই ছিলি
-হাই
-হ্যালো
-কোন সাড়া নেই
-কোন সাড়া নেই
-কোন সাড়া নেই
অতঃপর কোন সাড়া নেই
অপেক্ষা অনেক যন্ত্রণাদায়ক। তবুও রুমেল একটার পর একটা মেসেজ-ইমো-হাই-হ্যালো করেই যাচ্ছে... অপেক্ষার সাথে যেন তার বন্ধুত্ব জড়িয়ে গেছে।

-ওই
-জানিস। বাড়ি থেকে আসার সময় আম্মু আমের আচার বানিয়ে দিসে। আমার খুব মনে চায় তোকে দিতে। তুই কি আমাকে তোর আশেপাশের কোনও এ্যাড্রেস দিতে পারবি...? আমি কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দিব। তুই কালেক্ট করে নিতে পারবি।

বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৪

টুকে রাখলাম। কোনও এক সময় কাজে দেবে।

প্রিয় বাবুই পাখি,
জীবনে এমন অনেক সময় আসে, যখন পরিবেশ-পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকে না। পরিস্থিতিকে সাহসের সঙ্গে জয় করে নিতে চেষ্টা করবে। লজ্জা, শংকা, অস্বস্তি থাকা ভালো। কিন্তু সব সময় তা পুষে রাখলে চলবে না। মারামারি, ধাক্কাধাক্কি খুবই খারাপ। কিন্তু যখন তুমি সবার আগে থাকবে, তখন আর ধাক্কাধাক্কি করা লাগবে না। তোমার পুরানো বন্ধুকে খুব মনে পড়ে? মাঝে মাঝে ফোনে কথা বলবে। এখন যেই স্কুলে আছো, সেখান থেকে অল্প যে কয়জনকে তোমার পছন্দ হয় তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতো পারো। অবশ্য তোমার কয়েকটা বন্ধু জুটে গেলে দেখবে সব ঠিক হয়ে গেছে। তোমাকে তারা "তুই" করে কথা বলে? ব্যাপার না। তুমি কি জানো? "তুই" শব্দের ভালো একটা অর্থ আছে... আপন বা কাছের কাউকে "তুই" বলেও ডাকা যায়। তোমার স্কুলের ম্যাডামরা ছাত্রদের ভালো চায়। তারা তোমার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ চায়। তাই তাঁরা আপন মনে করে শাসন করে। হয়তো তোমার অপরাধ ছিলো না। তোমার কোনও ভুল ছিলো না। তবুও আজ ম্যাডাম তোমাকে মেরেছে। ম্যাডাম তোমাকে ভুল বুঝে মেরেছে। ইচ্ছে করে মারেনি। ম্যাডাম বুঝতে পারেনি যে, তুমি ধাক্কাধাক্কি এড়াতে দেরি করছিলে। এর জন্য তুমি ম্যাডামকে দুষবেনা। ম্যাডামরা খুব ভালো। তাদের মন ভালো। তারা না থাকলে তুমি কার কাছে পড়বে বলো?

বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৪

ϙϙϙ নির্জন রাতে ϙϙϙ

        


ঘুমটা হঠাৎ করেই ভেঙ্গে গেলো। অনেকক্ষণ ঘুমিয়েছিলাম এমনটা নয়। কিছুক্ষণ আগেই তো বাতি নিভিয়েছিলাম। যাই হোক, আবার ঘুমাতো চেষ্টা করছি। কিন্তু ঘুম তো আর আসছেনা। তন্দ্রার দল চোরপুলিশ খেলছে যেনো। লেপের ভেতর খুব গরম অনুভব করছি। ওটা পায়ের কাছে ফেলে একটা পাতলা কম্বল টেনে নিলাম।

বেশ কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পর। শ্রবণ শক্তি হঠাৎ এতো সক্রিয় হয়ে উঠলো কেনো? কোথা থেকে যেনো একটা শব্দ আসছে এইদিকে। খুব কাছে নয়, আবার বেশ দূরেও না। কিছু একটা থেঁতলানোর চাপা শব্দ। একটু পর পর। আওয়াজটা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। কিন্তু এর মূল উৎস কি! তা শত বার ভেবেও বুঝতে পারলাম না। টপ করে এক ফোঁটা পানি পড়ার শব্দ হলো।

হুম.. ওয়াশ রূমের কল থেকে বালতিতে পড়েছে। কিন্তু আমাকে ভয় পাইয়ে দেবার জন্য এক ফোঁটা পানিই বুঝি যথেষ্ট ছিলো! মাথাটা পুরোপুরিই কম্বলের নিচে লুকিয়ে নিলাম। উহ.. এখনতো আরও বেশি গরম লাগছে।

শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৪

বালিকার চাওয়া

অতটুকু চায়নি বালিকা! চেয়েছিল আরো কিছু...
একদা একটা গান লিখে নতুন সুরে তারে সাজাতে
          চেয়েছিল সুন্দর মালা গেঁথে নতুন গলে পরাতে
          প্রিয়তমের হাতে হাত রেখে ফুল কুড়াতে

চেয়েছিল একটা পৃথিবী বানিয়ে নতুন করে ঘর সাজাতে
          একটা মন কিনে নতুন রঙে তারে রাঙাতে
          একে অপরের হাত ধরে রংধনুর রং নিতে

বুধবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৪

দিনলিপি




বেশিক্ষণ ঘুমাতে পারলাম না। অফিস আছে। মোবাইলে নেই চার্জ। মধ্যরাতে বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। দ্রুত উঠলাম। চার্জারের কানেক্টরে কেবল যুক্ত করলাম। মোবাইলে সেট করে বিদ্যুৎ সংযোগ দিলাম।
druft 0.0.8

শাওয়ার শেষ। শীত মনেই হলো না। বাইরের চেয়ে বাসায় শীত একটু কমই অনুভূত হয়।
druft 0.0.9

ফুল, তুমি শুকিয়ে যাও। তবু আমার ভালো লাগে। জানিনা। স্রষ্টা ফুলের বিশেষণে কী এমন দানিয়াছে, যার আকর্ষণে আমরা ফুলকে ভালোবাসি। ফুল, তুমি চির সুন্দর।
druft 0.1.0
January 3, 2014

রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৪

অতিপ্রাকৃত গল্প: ৪ঠা জানুয়ারি


        

ঘটনাটা ঘটেছিল আজ থেকে এক বৎসর পূর্বে। আমার কয়েকজন বাঙ্গালী বন্ধু ঠিক করল– তারা এবারের থার্টি ফাস্ট নাইট সেলিব্রেট করবে ওকলাহোমার "হোটেল রুডলফে"। আমিও তাদের সঙ্গে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। এখানকার আরও কয়েকজন ফ্রেন্ড সিজান, লুসি, এলিজাবেথ, মন্টি ও টমসনও আমাদের সাথে আছে।
আমরা যথা সময়েই রুডলফে পৌঁছেছি। সব আয়োজন ঠিকমতোই করা হয়েছে। অনুষ্ঠান, আপ্যায়ন ও বিনোদনের কোথাও কোনও ঘাটতি রাখা হয়নি। আমরাও অনেক মজা করেছি। অনেক ড্যান্স হয়েছে। একটা কাণ্ড ঘটেছে। মজার কিনা বলতে পারবোনা। টমসন শ্যাম্পেনের বোতলটা এতো জোরে ঝাকাচ্ছিলো যে, একটুর জন্যে লুসির চোখে এ্যালকোহল ঢুকে যায়নি।

বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৪

druft 0.0.7

ক্লান্ত সূর্যটা আকজের মতো বিদায় নিয়ে জ্যাকভিল স্ট্রীটের শেষ মাথায় ডুব দিয়েছে আরও কিছুক্ষণ আগেই। বায়ে "বিসটেন" নদীর পানির উপর হিমেল ধোঁয়া বইছে। আর ডান পাশে সারি সারি পাহাড়। একটারও নাম মনে আসছেনা।