YouTube বন্ধ হয়ে গেলে...

বেশ কিছু দিন যাবৎ বাংলাদেশে ইউটিউব বন্ধ ছিল। কিন্তু তাই বলে আমাদের প্রয়োজন শেষ হয়ে যায় নি। নিজেদের প্রয়োজনের স্বার্থে বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে উপায় বের করে নিয়েছি।

তুমি নেই তাই

পরমিতা.. হয়তো বা আজ রাতে.. হয়তো বা তোমায় একটা চিঠি লিখতে পারি। তোমার অবর্তমানে আমার অনুভূতিগুলো সাজাবো তাতে।।

ডায়েরি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ডায়েরি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ, ২০১৮

জীবনে ফেরা


গেলো বছর এই ঝর্ণার নিচে ডুবে মরার উপক্রম হয়েছিলো। অন্য অনেকবারের মতো সেবারও ভাগ্যগুণে জীবন ফিরে পেয়েছিলাম। আমার সাথে যারা গিয়েছিলো তাদের সবাই ফেরার জন্য ব্যস্ত। কারণ হামহাম জলপ্রপাতটি ছিলো লোকালয় থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার গভীরে। তার উপর অরণ্যঘেরা কর্দমাক্ত টিলা। জোঁক তো অাছেই। সন্ধার আগেই ফিরতে হবে। আমি শেষবারের মতো সাতরে ঝর্ণার ঠিক নিচে গিয়েছি। কিছুক্ষণ পর যখন ফিরে আসতে চাইলাম, আমি কিছুতেই সাতরে কিনারায় পৌঁছুতে পারছিনা। আমি ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। ওপর থেকে নেমে আসা জল আমাকে বারবার ডুবিয়ে দিচ্ছিলো। ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারছিলাম না আমি। অনেক চেষ্টার পর আমি কিনারার কাছাকাছি একটা পাথর আঁকড়ে ধরতে চাইলাম। কিন্তু শেওলাযুক্ত পিচ্ছিল পাথর আমাকে আবারও ঝর্ণার গভীরে ঠেলে দিলো। আমি হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছি। ভেবেছি, এই জীবনে আর বুঝি ফেরা হবে না। আমি নিস্তেজ হয়ে গিয়েছিলাম। এক ভদ্রলোক বিষয়টি লক্ষ্য করে আমাকে টেনে তুলেছিলো। তাঁকে কখনোই ধন্যবাদ দেয়া হয়নি। আপনি না থাকলে হয়তো কয়েক ঘন্টা পর আমার মৃতদেহটা ভেসে উঠতো। আপনার কাছে আমি চিরঋণী হয়ে গেলাম। দিনটা ছিল 14 July, 2017

#Sreemangal Humhum #waterfall

বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৬

দিনলিপি-২




আজ সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে জানতে পারলাম, আমাদের বাড়িওয়ালার কাজের ছেলেটা পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে বাড়ির মালিক স্থানীয় থানায় একটি জিডি করেছে। এই বাসায় আমরা উঠেছি প্রায় দু’বছর হতে চলল। দু’বছরে তার কাজের ছেলে এ নিয়ে চারজন গেছে। সুজন ছিলো বাড়িওয়ালার চতুর্থ জন। বয়স কতো, আট-নয় বছর হবে হয়তো। এই বয়সে ওর স্কুলে যাবার কথা। শুনেছি সে বাড়িওয়ালার চাচাতো বোনের খালাতো বোনের ছেলে। দারিদ্রের কষাঘাতে আজ তাকে মামার বাসায় পরিচারকের কাজ করতে হচ্ছে। কিন্তু পালিয়ে গেলো কেন! জানা গেলো, কয়েকদিন পূর্বে ওদের বাসার কেউ একজন ওকে লাথি মারে। আঘাতটা লাগে ওর কনুইয়ে। মচকে গেলো, না ভেঙ্গে গেলো তার খবর নেওয়ার কে আছে ওর! ওষুধ কি সেবন করতে দিয়েছিলো ওকে? জানা যায়নি। আজ বিকেলে ও ছাদে গিয়েছিলো। তখন ওর মামি ধমক দিয়ে বলে- এখানে কি করছিস? নিচে যা... ও নিচে নেমে যায়। এর পর হতেই নাকি ওর কোনও খোঁজ নেই। অনেকেই মনে করছে, কেউ হয়তো ওকে নিয়ে গেছে।

১৯ এপ্রিল, ২০১৬
রাত ১:২৫

ক্লেশ

http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/ikhtamin/04-2015/ikhtamin_115418087552b69b5707ad8.74076390_xlarge.jpg

রোমেন একটা জরুরি ফোন করবে এমন সময় তার মুঠোফোনটা বেজে উঠলো।
- হ্যালো, মা! কেমন আছেন?
- এইতো আছি। ভালা। তুঁই কেমন আছো?
- আমি ভালো আছি।
- দুপুরে খাইছো নি?
- হ্যাঁ খাইছি। আপনি খাইছেন?
- হ। আর হুনো... লামিসার কোনও খবর জানো নি?
- হ্যাঁ... এক ঘন্টা আগেও তো কথা হইছে, বললো ভালোই আছে।
- আর কিছু কয় নো?
- বলছে। গতকাল নাকি তাহমিনার কাছে অনেক বার কল দিছে। কেউ রিসিভ করে নাই। পরে ব্যাকও করে নাই কেউ। আজকে ফোন করে দেখে কল ওয়েটিং। কেমন মানুষ। আমি বাড়িতে গেলে ওদের বাড়ি বেড়াতে যাবার জন্য শতবার ফোন করে, অথচ এতোদিন হয়ে গেলো আমাদের কাছে ফোন করাতো দূরের কথা, কল দিলেও ধরে না। ওকে। আমরা আর কল করবো না। লামিসারেও বলে দিছি- আর যেনো কল না করে ওর কাছে।

বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৪

ϙϙϙ নির্জন রাতে ϙϙϙ

        


ঘুমটা হঠাৎ করেই ভেঙ্গে গেলো। অনেকক্ষণ ঘুমিয়েছিলাম এমনটা নয়। কিছুক্ষণ আগেই তো বাতি নিভিয়েছিলাম। যাই হোক, আবার ঘুমাতো চেষ্টা করছি। কিন্তু ঘুম তো আর আসছেনা। তন্দ্রার দল চোরপুলিশ খেলছে যেনো। লেপের ভেতর খুব গরম অনুভব করছি। ওটা পায়ের কাছে ফেলে একটা পাতলা কম্বল টেনে নিলাম।

বেশ কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পর। শ্রবণ শক্তি হঠাৎ এতো সক্রিয় হয়ে উঠলো কেনো? কোথা থেকে যেনো একটা শব্দ আসছে এইদিকে। খুব কাছে নয়, আবার বেশ দূরেও না। কিছু একটা থেঁতলানোর চাপা শব্দ। একটু পর পর। আওয়াজটা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। কিন্তু এর মূল উৎস কি! তা শত বার ভেবেও বুঝতে পারলাম না। টপ করে এক ফোঁটা পানি পড়ার শব্দ হলো।

হুম.. ওয়াশ রূমের কল থেকে বালতিতে পড়েছে। কিন্তু আমাকে ভয় পাইয়ে দেবার জন্য এক ফোঁটা পানিই বুঝি যথেষ্ট ছিলো! মাথাটা পুরোপুরিই কম্বলের নিচে লুকিয়ে নিলাম। উহ.. এখনতো আরও বেশি গরম লাগছে।

বুধবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৪

দিনলিপি




বেশিক্ষণ ঘুমাতে পারলাম না। অফিস আছে। মোবাইলে নেই চার্জ। মধ্যরাতে বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। দ্রুত উঠলাম। চার্জারের কানেক্টরে কেবল যুক্ত করলাম। মোবাইলে সেট করে বিদ্যুৎ সংযোগ দিলাম।
druft 0.0.8

শাওয়ার শেষ। শীত মনেই হলো না। বাইরের চেয়ে বাসায় শীত একটু কমই অনুভূত হয়।
druft 0.0.9

ফুল, তুমি শুকিয়ে যাও। তবু আমার ভালো লাগে। জানিনা। স্রষ্টা ফুলের বিশেষণে কী এমন দানিয়াছে, যার আকর্ষণে আমরা ফুলকে ভালোবাসি। ফুল, তুমি চির সুন্দর।
druft 0.1.0
January 3, 2014

বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৪

druft 0.0.7

ক্লান্ত সূর্যটা আকজের মতো বিদায় নিয়ে জ্যাকভিল স্ট্রীটের শেষ মাথায় ডুব দিয়েছে আরও কিছুক্ষণ আগেই। বায়ে "বিসটেন" নদীর পানির উপর হিমেল ধোঁয়া বইছে। আর ডান পাশে সারি সারি পাহাড়। একটারও নাম মনে আসছেনা।

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩

druft 0.0.6

জানি, তুমি আর ফিরবেনা
দেখা হবেনা আর এই জীবনে
তবু মিছে সান্ত্বনা দিয়ে রাখা
আশায় বেঁধে স্বপ্নে বাঁচিয়ে রাখা

druft 0.0.5

আমি শুনেছি-
তুমি নাকি ৪ঠা জানুয়ারি আমার সাথে দেখা করছো?
কথাটা কি সত্যি?
বহুদিন পর এমন একটা কথা- হোক না মিথ্যে- শুনতে পেরে কিছুক্ষণের জন্যে হলেও আমর খুব ভালো লাগছে।
আমি ভুলে গেছে প্রায় এক বৎসর পূর্বে ঘটে যাওয়া পুরানো কিছু

druft 0.0.4

তুমি কি ফিরে আসতে পারবে?
আমার কল্পনায় নয়
আমার স্বপ্নে নয়
নয় কোনও অলৌকিক বা অশরীরী কিছু হয়ে
তোমাকে ফিরতে হবে জীবিত হয়ে
এটা কি সম্ভব?

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৩

druft 0.0.3


হাত ঘড়িতে তাকাতে গিয়ে বুঝতে পারি হাত ঘড়িটা রুডলফের কোনও একটা কামরায় টেবিলের উপরে অযত্নে পড়ে আছে। ওটা খুলে গিয়েছিল। আসার সময় খেয়াল করে সাথে নেওয়া হয়নি। থাক। ওটা ওখানেই পড়ে থাক।