মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০১৩

নারীর বৈষম্য কথকতায় ধর্মের অপ-ব্যবহার

প্রথম প্রকাশঃ ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
সামহোয়্যারইন ব্লগ












___________________________________________________

... ... "মহিলা তেঁতুলের মত-তেঁতুলের মত-তেঁতুলের মত।" ... ... ...
হাহাহা। এই উক্তিটা এতোক্ষণে প্রায় সবাই জানে। এই ব্যাপারে নতুন করে কিছু বলার নেই। এখানেও মহিলারই দোষ। কারণ, নারী পর্দা করে চলেনা। বাস্তবতা কি আসলে তাই?
গত কয়েকদিনে এই ব্যাপারে বহু তর্ক-বিতর্ক দেখেছি, শুনেছি। তবে মজার ব্যাপার হলো- নারীরা মূলতঃ এই ব্যাপারটায় বৈষম্যের শিকার। কারণ, নারীকে এতোকিছু যে বলা হচ্ছে, তা শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে পর্দার জন্য। অথচ এই পর্দা প্রথা শুধু নারীর একার নয়, পুরুষেরও। (বলা বাহুল্য, পর্দা স্রেফ পোষাকেই সীমাবদ্ধ নয়।) পোষাক ছাড়াও পর্দা হতে পারে। পর্দার ব্যাপারটা হলো নিজের চোখে, নিজের মনে। কিন্তু আমরা পুরুষকে কিছুই বলি না। ধর্মীয় নেতারাও এই ব্যাপারে চুপ। ফলে দেশে একটা অলিখিত রেওয়াজ বহুদিন ধরেই চলে আসছে। নারীকে ঘরে থাকতে হবে। লুকিয়ে থাকতে হবে। নইলেই সমূহ বিপদ। পর্দা না করলে নারী ধর্ষিতা-ও হতে পারে। অন্যদিকে পুরুষকে ধর্মীয় বিধি নিষেধ সম্পর্কে কিছুই বলা হচ্ছে না।
তার মানে এখানে পুরুষকে অন্যায় কাজের জন্য প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে। অপর দিকে নারীর উপর পর্দার বিধান চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। একটা পুরুষ তার পাশের নারী সহকর্মীর দিকে অসভ্যের মতো তাকিয়ে থাকল। এখানেও আমরা নারীর ত্রুটি খুঁজি। অথচ পুরুষ যে ধর্মের বিধান মানছেনা, সেটা তো কোনও আলেম বলছে না।
আল-কুরআনের যেই ভাষ্য অনুযায়ী ইসলাম ধর্মে পর্দার বিধান প্রণয়ন হয় সেই আয়াত হলো-
(হে নবী! আপনি) মুমিনদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানকে পাপকর্ম থেকে রক্ষা করে; এটাই তাদের জন্য উত্তম। আর তারা যা কিছুই করে, নিশ্চয়ই আল্লাহ সে ব্যাপারে খুব ভালো জানেন।

আর (আপনি) মুমিন নারীদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানকে পাপকর্ম থেকে রক্ষা করে............................ সূরা নূরঃ আয়াত নং- ৩০ ও ৩১

প্রিয় পাঠক, আয়াত দু'টোর অনুবাদ পড়ে কী বুঝলেন, মেয়েরা কী তেতুল!!! পর্দা কি শুধু মেয়ে-ই করবে!! নাকি পুরুষকেও করতে হবে। নাহ. বরং আমি যা বুঝতে পেরেছি সেটা হলো: নারীর বিষয়টা নিয়েই শুধু উচ্চবাচ্য করলে চলবে না। বরং পুরুষকেও নিজের চক্ষু সামলাতে হবে। কারো কারো মতো তেতুল মনে করে নারী দেখলে যাদের লোল পড়ে তাদের চোখ বন্ধ রাখতে হবে। ;)
এইবার আসুন, চাপা মেরে একটু বিস্তারিত করি (এটা কোনও তাফসীর কিংবা ব্যাখ্যা না। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানের জালে যা ধরা পড়েছে, সেটাই :) )

পয়েন্ট- ১
উভয় আয়াতের শুরুতেই বোঝা যায়- এই বিধান শুধু মুমিনদের জন্য। যারা প্রভুর একত্ববাদ ও হজরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নবী/রাসুল হওয়ার উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে অর্থাৎ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য। তার মানে কোনও মুসলিম রাষ্ট্রে বসবাসকারী অমুসলিমদের জন্য এই বিধান নয়। সুতরাং এটা কোনও রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে কোনও দেশের সংবিধানে যুক্ত করা যাবে না, যা হেফাজতে ইসলামের দাবীগুলোর একটা। কারণ, তখন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপর এটা অন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেওয়া হবে, যা কুরআনে উল্লেখ নেই।

পয়েন্ট- ২
উক্ত আয়াতদ্বয়ে পুরুষকে দৃষ্টি সংযত রাখতে বলার মানে হলো, কোনও মেয়ে যেনো ইভটিজিং এর শিকার না হয় (এটা আমাদের দেশে অহরহ ঘটছে।) এবং নারীকে দৃষ্টি সংযত রাখতে বলার মানে হলো, কোনও পুরুষ যেনো অ্যাডাম টিজিং এর শিকার না হয় (এটা আমাদের দেশে তেমন একটা দেখা যায় না। খুব কম)। তবে এখানে একটা ব্যাপার আছে। দৃষ্টি সংযত বলতে মূলতঃ কী বোঝানো হয়েছে... B-)
চোখ সামলানোর মানে এই নয় যে, রাস্তায় চলার সময় নিচের দিকে তাকিয়ে চলতে হবে। কিংবা চোখ বন্ধ করে চলতে হবে!!! তাহলে তো আপনি চলতে চলতে গাঁজাখোরের মতো কারো গায়ের উপর পড়ে যেতে পারেন। হতে পারে সে কোনও মেয়ে। তখন পাবলিকের মার থেকে আপনাকে লুল শফি বাঁচাতে আসবে? অথবা কোনও গাড়ির নিচেই চলে যেতে পারেন। নিচের দিকে তাকিয়ে গাড়ি চালাতে চালাতে কাউকে এক্সিডেন্ট করতে পারেন। তখন আপনার কী হবে উপায়?

খুব সহজ। আপনি যখন কোনও নারীর দিকে ঢেব ঢেব করে তাকিয়ে থাকবেন। কামনার দৃষ্টিতে। সুযোগ পেলেই যেনো তাকে গিলে খেয়ে ফেলবেন। ঠিক সেই সময় আপনার কাছ থেকে বিপরীত লিংগকে রক্ষার জন্য আপনাকে নিজের দৃষ্টি সংযত করতে বলা হয়েছে। কারণ, আপনার মনে তখন পাপের আনাগোনা। যে কোনও মূহুর্তে আপনি হিংস্র হয়ে উঠতে পারেন। আর এই বিধান ঘরে-বাইরে, স্কুল-কলেজ, অফিস, রাস্তা-ঘাট সবখানেই প্রযোজ্য। কারণ, উক্ত আয়াতে কোনও নির্দিষ্ট স্থানের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

পয়েন্ট- ৩
উপরের প্রথম নিষেধাজ্ঞার পরও যদি আপনি নিজেকে সংবরণ করতে ব্যর্থ হন, তাই আপনাকে আদেশ করা হয়েছে- নিজের লজ্জাস্থানকে পাপকর্ম থেকে রক্ষার জন্য। এর অর্থ অনেক হতে পারে। তবে এখানে যেটা মুখ্য ও প্রধান উদ্দেশ্য সেটা হলো- আপনি যেহেতু দৃষ্টিকে সংযত করতে পারছেন না, তাই এর পরিণতিতে পাপকর্ম (ধর্ষণ) থেকে আপনাকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে।

পয়েন্ট- ৪
পয়েন্ট-২ ও পয়েন্ট-৩ নর-নারী উভয়ের জন্যই বলা হয়েছে। তবে প্রথম আয়াতে পুরুষকে উল্লেখ করে আরও দু'টো কথা বলা হয়েছে। যার একটা হলো- ‍"এটাই তাদের জন্য উত্তম"। সাধারণভাবে দেখলে মনে হবে এমনিতেই বলা হয়েছে। কোথায় যেনো শুনেছিলাম: কুরআনের প্রত্যেকটা কথার ব্যাখ্যা আছে। আমার মনে হয় এই অংশটুকুরও একটা কারণ আছে। আর সেটা হলো: আপনি (পুরুষ) যদি ভিকটিম হন, তাহলে আপনি এতটুকু চেষ্টাতেই এই পাপ থেকে বিরত থাকতে পারবেন। কারণ, স্বাভাবিক ভাবেই পুরুষ কোনও নারীর কাছে অসহায় নয়। আর যদি অপরাধী হয়ে থাকেন। অর্থাৎ ভিকটিম যদি নারী হয়, সেক্ষেত্রে আপনাকে (পুরুষ) বলা হচ্ছে: এতো সোজা কথায় যদি নিজেকে পাপকর্ম থেকে বিরত রাখতে না পারেন, তাহলে চোখ বন্ধ করে রাস্তায় গিয়ে গাড়ির নিচে চাপা পড়ে মরে যান। (ফান)

পয়েন্ট- ৫
পুরুষকে আরও একটা কথা বলা হয়েছে ধমকি স্বরূপ। তা হলো: "আর তারা যা কিছুই করে, নিশ্চয়ই আল্লাহ সে ব্যাপারে খুব ভালো জানেন।" এর অর্থ এটা হতে পারে যে, পুরুষ (ধর্ষক হোক অথবা না হোক, কারণ- এখানে পুরুষ দ্বারা সকল পুরুষ অর্থাৎ পুরুষ জাতিকে বোঝানো হয়েছে) যদি কোনও ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়। অথবা এর বিচারকার্যে দুর্নীতি করে, তাহলে এটা হয়তো এখানেই ডিসমিস হয়ে যাবে। কিন্তু প্রভু যে একজন আছেন। তিনি যে শেষ বিচারের দিন ভিকটিমের পক্ষ নেবেন, সেটাই এখানে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে পুরুষকে। আর এই আয়াতে এই কথাটুকুর অন্তর্ভূক্তির এইটাই একমাত্র কারণ হতে পারে।
তাহলে প্রশ্ন হতে পারে- নারীকে উদ্দেশ্য করে একই রকম কথা কেনো বলা হলো না?
এর উত্তর এটা হতে পারে যে, নারী কর্তৃক পুরুষ ধর্ষিত হয়েছে এমন ঘটনা বিরল। তবে পুরুষ কর্তৃক নারী ধর্ষিতা হয়েছে এমন ঘটনা অহরহ ঘটেই চলেছে। কিন্তু বিচার পাবার ক্ষেত্রে নারী অধিকাংশ সময়েই অবহেলিত হয়। আর তা শুধু পুরুষ শাসিত রাষ্ট্রেই নয়। বরং নারী শাসিত দেশেও এইটা প্রবল। তিক্ত হলেও সত্য যে, এর উদাহরণ আমাদের এই বাংলাদেশ। প্রশাসনের অনেক জায়গাতেই তো নারীরা আছে। সরকার গঠনকারী এবং প্রধান বিরোধী দল দুটোর নেতা (নেত্রী)-ই তো নারী। কিন্তু ধর্ষণের কেসগুলোর কয়টার কী হলো!!! :( এটা আমাদের জন্য হতাশাই বটে। হয়তো বা এই রকম কিছুর প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে উক্ত আয়াতে।

পয়েন্ট-৬
যদ্দুর জানতে পেরেছি- উক্ত আয়াতের সূত্র ধরে আমাদের ইসলাম ধর্মে পর্দা প্রথা চালু হয়েছে। কিন্তু আমাদের ভাবতে হবে- এই আয়াত কেনো অবতীর্ণ হলো। নবীজীর যুগে যখন কিছু বখাটে ছেলে রাস্তার পথচারী মেয়েদের দেখলে হাসি ঠাট্টা করতো। এটা-সেটা বলতো। ঢিল ছুঁড়তো। তখন এই আয়াত নাযিল হয়েছিল। এবং এই আয়াতের মূল উদ্দেশ্য ছিল নারীর রক্ষণাবেক্ষণ। একই সাথে বখাটে ছেলেদের জন্য ধমকি স্বরূপ। এই কারণেই তো নারীকে যতটুকু আদেশ-নিষেধ করা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি বলা হয়েছে পুরুষকে। এবং পুরুষকে বলা হয়েছে কঠোর ভাবে। উক্ত বিষয়ের দিকে খেয়াল করলে তো ইভটিজারের শাস্তি চোখ উপড়ানো হওয়া উচিৎ। B-) কিন্তু কালের পরম্পরায় নারী হয়েছে পর্দাকেন্দ্রিক, অবহেলিত, নির্যাতিতা। আর পুরুষ হয়েছে অত্যাচারি, নির্যাতনকারী, ধর্ষক। মানুষ নারীকে ইভ টিজিং ও ধর্ষণ থেকে রক্ষা করতে পর্দার পরামর্শ দিচ্ছে। অথচ পুরুষকে ধর্ষণ থেকে রুখতে ধর্মের কথা ভাবছে না।
যেই পাষণ্ডের শুধু একটা গর্তেরই প্রয়োজন হতে পারে, তার কাছে ৫ বছরের শিশুই কী, আর ৫০ বছরের বৃদ্ধাই কী! তার কাছে তো তার মা ও আপন ছোট বোনটিও নিরাপদ নয়!! অন্য কোনও মেয়ে কীভাবে তার থেকে মুক্তি পাবে!!! পর্দা কিংবা কোনও পোষাক তার থেকে কোনও নারীকে নিরাপদ রাখতে পারবে না। কারণ, সে নিজের অবস্থানকে পশুর চাইতেও নীচে নামিয়ে দিয়েছ। কোনও নারীকে যদি কোনও পুরুষ ধর্ষণের ইচ্ছা পোষণ করে, তখন ওই নারী বদ্ধ সিন্দুকের ভেতরও নিরাপদ নয়, পর্দা কোন ছার। দেশের সকল নারী যদি ঘরে চুপটি মেরে বসে থাকে। রাস্তায়-ই না বেরোয়, তবুও ধর্ষণের অপরাধ বৃদ্ধি পাবে বৈ কমনে বা। কারণ, সমস্যা এখানে নয়। অন্যখানে।

হিজাব বলতে আমরা যে বোরকা বুঝি, এটা সম্পূর্ণ ভুল। বোরকা শুধুই একটা পোষাক। এটা যে কোনও কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। এটাকে কেউ চুরি-ডাকাতি-খুনের জন্যও ব্যবহার করতে পারে। সুতরাং এখন আর এই বোরকার বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদা নেই আগের মতো। তাই। স্কুলের শিক্ষিকা কর্তৃক মেয়েদের পোষাকের হাতা কেটে ফেলা যেমন মানবাধিকার লঙ্ধন। ঠিক তেমনি কারও উপর পর্দার পোষাক চাপিয়ে দেওয়াও মানবাধিকার লঙ্ঘন।

এতো কিছুর পরও কেউ কিছু বলবে না। বলতে চাইবে না। কিন্তু যে নারীর বেঁচে থাকার অবলম্বন পোষাক শিল্পে শ্রম দেয়া ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই, তাকে যদি অবিবেচকের মতো ঘরকুনো হয়ে থাকতে বলা হয়, তখন তো তা প্রশ্নবিদ্ধ হবেই। তার উপর তাকে যখন তেতুল বলে ব্যঙ্গ করা হয়, তখন এর অর্থ অনেক হতে পারে। গালি তো বটেই। জনসমক্ষে এই ভাবে নারীকে তেতুলের সাথে তুলনা করে উদাহরণ দেয়া জাতীয়ভাবে অবহেলারই নামান্তর। তাই এখন বলা জরুরী যে, আগেকার ধর্মনেতারা মানুষের শান্তির জন্য সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপন করতেন। কিন্তু এখনকার তথাকথিত ধর্মনেতারা ধর্ম নিয়ে টানাহেঁচড়া করে মানুষকে নিয়মিত বিপদে ফেলে। এটা কখনই উচিৎ নয়। সাধারণ মানুষ এমনটা কখনই আশা করে না। এই রকম মানসিকতা থেকে আলেমদের বেরিয়ে আসতে হবে।

আমি আবারও বলছি- উপরে যা যা লিখেছি, তা উপর্যুক্ত আয়াতের কোনও ব্যাখ্যা নয়। এটা শুধুই আমার মনের ভাব প্রকাশ বৈ তেমন কিছু নয়। কারণ, কুরআনের ব্যাখ্যা করার অধিকার সবার নেই। তবে হ্যা, ব্যাখ্যাটা এই রকম হওয়াটাই স্বাভাবিক (কারণ, স্থান-কাল-পাত্র ভেদে সবকিছুরই পরিবর্তন ঘটে।) তবে উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা আমার কথার সাথে যদি আদৌ কিছুটা মিলে যায়- কোনও আলেম তা স্বীকার করবে কিনা এতে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।




৩০টি মন্তব্য
১. ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
ভীতু সিংহ বলেছেন: চরম সত্য কিছু কথা বলেছেন।++++
১৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮
লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই :)
২. ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪১
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।
১৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯
লেখক বলেছেন: থ্যাংক্স মামুন ভাই :)
৩. ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৬
রেজোওয়ানা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ইখাতিমন......
১৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১০
লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু :)

ইখাতিমন কী :D
৪. ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
সেফানুয়েল বলেছেন: খুবই চমৎকার পোস্ট।
১৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১১
লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যাবদ সেফানুয়েল :)
৫. ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:৪২
মেলবোর্ন বলেছেন: ভালো লিখেছেন আর একটু যোগ করি কুরআনের ব্যাখ্যা করার অধিকার সবার নেই তবে কোরআন বোঝার অধিকার সবার আছে ।

ইসলামে প্রথম মুসলিম নারী খাদিজা (রঃ) হজরত মোহাম্মদ (সঃ) এর প্রথম স্ত্রী যিনি সর্বদা মোহাম্মদ (সঃ) এর পাশে ছিলেন , প্রথম শহীদ নারী সুমাইয়া ইসলাম প্রচারের শুরুতে যারা রাসুলের (সাঃ) আহবানে সাড়া দিয়েছিলেন, সুমাইয়া তাদেরই একজন, সুমাইয়ার নারীদেহ ভংগুর, স্পর্শকাতর, কিন্তু আত্মা তার অজেয়, বক্ষে তার বিশ্বাস-ঈমানের দুর্জয় শক্তি ও সাহস, সবচেয়ে বেশি হাদিস বর্ননা কারী নারী আয়েশা (রঃ)। যা দেখা যাচ্ছে ইসলামে নারীর সম্মান ও অবদান কখোনোই কম ছিলোনা সেটা কবি নজরুল ঠিকই বুঝেছিলেন তাইতো তিনি লিখে যান "কোন কালে হয়নি কো জয়ী পুরুষের তরবারী প্রেরনা দিয়েছে শক্তি দিয়েছে বিজয় লক্ষী নারী"-- কাজী নজরুল ইসলাম।

ইসলাম ও নারী নিয়ে ভুল ধারনার অবসানে আমার ক্ষুদ্র প্রচেস্টার এই পোস্টে সবাই কে আমন্ত্রন: নারী ও ইসলাম- আসুন দেখি সত্যের চোখে
৮১৩ বার পঠিত ১০১টি মন্তব্য ও ১২জনের প্রিয়তে পাবেন এখানে Click This Link
১৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪
লেখক বলেছেন:
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ মেলবোর্ন :)
আপনার কথায় পূর্ণ সহমত
আপনার পোস্ট টা দেখেছি, কিন্তু ভালো করে পড়ার সময় পাইনি.
নিশ্চয়ই খুব ভালো লিখেছেন ;)
৬. ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৫৯
আরজুপনি বলেছেন:

অফ লাইনে পোস্টটা গতকালই দেখেছিলাম । ভালো লেগেছে আপনার সুন্দর উপস্থাপনে ।
আর তখনই শেয়ার নিয়ে রেখেছিলাম পরে কাজে লাগতে পারে ভেবে ।


আর কোরআনের আয়াত ব্যাখ্যা করার অধিকার সবার নেই ...এই কথাটাতে পূর্ণ সহমত জানাতে পাচ্ছি না ...কারণ এখনও তেমন শক্ত কোন দলিল চোখে পড়ে নি এমন । তবে ধর্ম মানব কল্যানে ব্যবহৃত হওয়া উচিত তাই, মানব কল্যান বিরোধী হয় এমন অপব্যাখ্যা হওয়া উচিত নয় ।
১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
লেখক বলেছেন:
আরজুপনি আপু!
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ :)
আপনি ঠিকই বলেছেন
কিন্তু আমি কথাটা এইভাবে বলেছি এই জন্যে যে, পাছে কেউ বলে বসে- আমি ভুল ব্যাখ্যা করছি।
আর কোরআনের আয়াত ব্যাখ্যা করার অধিকার সবার নেই... এটা বলেছি,
কারণ, যে ভালো জানে, তার অপব্যাখ্যাটা যেই স্তরে পড়ে। যে কম জানে, তার দায়সারা ব্যাখ্যাটাও সেই স্তরে পড়াটাই স্বাভাবিক নয় কি? :)
তবে হ্যা, ধর্ম মানব কল্যানেই ব্যবহৃত হওয়া উচিত। কারণ, ধর্ম মানুষের শান্তিময় জীবন যাপনের জন্যেই এসেছে। :) :)
৭. ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২১
এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: গুড পোষ্ট ।
১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এসএমফারুক৮৮ :)
৮. ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া
+++++++++++++++
১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯
লেখক বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে রহস্যময়ী কন্যা :)
৯. ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
বাঘ মামা বলেছেন: হুম ইখতামিন বরাবরের মতই এবারো একটা চমৎকার বিষয় নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন,সমস্যা হলো এখানে একটু খোলা মেলা আলোচনা করতে পারলে ভালো হতো কিন্তু ব্লগের অবস্থা অনেক বদলে গেছে ,আমার মন্তব্যের বিপরীতে কেউ সাবলীলতা রক্ষা করবেনা বলেই সেই ভাবে মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে।

একটা কথা কিন্তু আমাদের মানতেই হয়,নারী শত্রু কিন্তু নারী।এটা চরম সত্য, দেশ দুনিয়া যতই আপডেট হোক এই মুল ধারা থেকে নারী বের হতে পারছেনা,পারবেনা যতদিন নারী নিজেকে পুরুষের কাতারে আনতে না পারবে।নিজের শরীরের দিকে না তাকিয়ে একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে ভাবতে হবে। দেশ দুনিয়া সম্পর্কে তার জ্ঞান থাকতে হবে।সঠিক শিক্ষা নিয়ে বড়ে উঠতে হবে এই জন্য দরকার একজন সুশিক্ষিত মা।একজন মা অন্ধ হলে তার সন্তানের যে কি অবস্থা হয় তাতো আমরা সহজেই অনুমান করতে পারি তাইনা? মা বলতে পারবে আগুনের কেমন রং,গরু কেমন দেখতে।মুরগী কেমন হাটতে।এক কথা একটা মায়ের অজ্ঞতা যে একটা জাতীর জন্য অনেক ভয়াবহতা ডেকে আনে তা সহজেই অনুমান করা যায়।

আমাদের সমাজে কিন্তু মা-ই তার মেয়েকে মাংস পিন্ড করে তুলছে,একটা পুরুষের জন্য।বোন তার ভাইয়ের জন্য খুঁজে বেড়াচ্ছে রুষ্টপুষ্ট মেয়ে।বোন সে সব ধরণের কাজে ধ্যনে এবং ফ্যশনে মত্ত কিন্তু ভাইয়ের বউ হতে হবে পরহেজগার।শান্ত শিষ্ট্য।এবং একটু মদন টাইপের হলেত কথাই নেই যেন বাবার বাড়ি এসে যা চাইবে তাই দিতে বাধ্য থাকে।বিষয়টা কত আজবনা? এমন চিন্তা কিন্তু পুরুষ পুরুষদের জন্য করেনা। মা তার মেয়েকে শিখাচ্ছে কিভাবে বর কে বশে আনতে হয়।সেই মা আবার তার ছেলেকে শিখাচ্ছে কিভাবে বউকে শাষাতে হয়।

একটা নারী একি সময় দুমুখো আচরণ করছে।মা তার মেয়েকে আকর্ষনীয় করে তুলতে জামা কাপড় নির্বাচণে একটু খুল্লাম খুল্লা হচ্ছে।কিভাবে মেয়ের সৌন্দর্য্যের সব টুকু পুরুষে চোখের দেয়াল ভাঙ্গে তা নিয়ে ঘাম ঝরায় অনেকেই।

এমন করে নারীরাই আসলে নানা ভাবে বিভাজন হচ্ছে মননে শরীরে সংসারে সর্বস্তরে সব ক্ষণে।

এরপর যেই জিনিসটা অত্যান্ত জরুরী সেটা হলো নারী দেখলেই নাকি জিবে জল আসে, শফি সাহেব তো বলছেন নাকি রিতীমত লালা ঝরে।আমার বাসার সামনে রোডে ঠিকানা বিহীন একটা কুকুর আছে,তার এমন করে লালা ঝরে,জীব সব সময় বের করা মানে ঝুলে থাকে,এটা কিন্তু কুকুরের স্বভাব না।এটা একটা রোগ ,আচ্ছা যাইহোক।আসুন এই একি চিত্র আমরা মানুষের জন্য কল্পনা করি,মানে পুরুষের ,তার জীব বের করা,নারী যাচ্ছে আর লালা ঝরছে,কি সাংঘাতিক বেপার।

পুরুষটা এত লুজ কেন? ফুটো বালতির মতো, ফুটো দিয়ে সব পড়ে যাচ্ছে।আহারে বেচারা। এই মানুষ সঞ্চয় করবে কিভাবে।তারতো যেখানে সেখানে ঝরে।আল্লাহ কি পুরুষকে এত দুর্বল বানিয়েছেন? আমারতো মনে হয়না।

সে যাই হোক নারীর আবেদন দৃষ্টি কোন নির্দিষ্ট পুরুষের চোখে না পড়া পর্যন্ত যদি কোন অনির্দিষ্ট পুরুষের অহরহ নারী দেখলেই লালা ঝরে তো সেই পুরুষ খোলা মানুষ,মানে ব্যবহারিত।মানে ওনার কোন কাভার নেই।এসব পুরুষ আদতেই রোগাক্রান্ত,আমার বাসার সামনের কুকুরটার মত।
১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭
লেখক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ বাঘ মামা :)
শত ব্যস্ততার মাঝেও আমার ব্লগে এসেছেন দেখে খুব ভালো লাগছে

আপনার কথাগুলোতে সহমত :)
১০. ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০২
বাঙাল শিক্ষক বলেছেন: Rasulullah (sallallahu-alayhi-wasallam) said: "That man is not from us (Muslims) who does not respect our elders, neither shows mercy on our young ones nor appreciates the Alim (scholar of Deen amongst us)" - Targheeb (al-I'tidaal of H.Shaikh)

অর্থঃ যে আমাদের বড়দের সম্মান করে না, আমাদের ছোটদের স্নেহ করে না, আলীমদেরকে ইজ্জত করে না, সে আমার উম্মাতের অন্তর্ভুক্ত নহে।

Sayyidina Abdullah bin Abbas (RA) says: "Whosoever harrasses any Alim has caused trouble and pain to Rasulullah (sallallahu-alayhi-wasallam) and the one who causes trouble and pain to Rasulullah (sallallahu-alayhi-wasallam) has caused trouble to Allah" (al-I'tidaal of H.Shaikh)

অর্থঃ যে আলীমদেরকে অপমান করে, সে রসুলুল্লাহ সল্লালাহহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কস্ট দেয়। যে রসুলুল্লাহ সল্লালাহহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কস্ট দেয়, সে আল্লাহ কে কস্ট দেয়।

Click This Link
১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৪
লেখক বলেছেন:
হাদিস দু'টি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ @বাঙাল শিক্ষক :)
তবে আপনি কি এই হাদিসের উল্লেখযোগ্য কোনও সূত্র দিতে পারবেন? B-)

যাই হোক, এখানে বড়দের কোনও অসম্মান করা হয়নি, আলেমদেরকেও অমর্যাদা করা হয়নি এবং তাদের অপমানও করা হয়নি


ভালো থাকুন :) :)
১১. ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩০
অনির্বাণ তন্ময় বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট। গোছানো লেখা।

ভালো লাগা রইল।।
১৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬
লেখক বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ ভাই :)
১২. ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: পোস্ট সব গায়েব কেন? B:-)
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০৬
লেখক বলেছেন:
ওরা কিছুদিন বিশ্রামে থাকুক :)
১৩. ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৪
শায়মা বলেছেন: বাহ!

নারী পুরুষে সমাজতন্ত্র....


সবাই যদি তোমার মত ভাবতো!

২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১০
লেখক বলেছেন:
একটু ভেবে দেখলাম কেমন লাগে :P :P :P :P :P :P
১৪. ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩১
মায়াবী রূপকথা বলেছেন: আমি এইসকল ব্যাপারে কমেন্ট করতে ইতস্তত বোধ করি। অযথা সময় নষ্ট করা বলে মনে হয়। কত মানুষই কত কথা বলবে, বলে, বলেছে, এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে গেলেই মাথা ব্যথা করবে। প্রথম প্রথম যখন জিন্স পড়তে যেতাম, নিজের বাসাতেই মানা না করলেও ঠিক মন থেকে সমর্থন করেনি। এখন এগুলা নিয়ে কেউ ভাবারও প্রয়োজন বোধ করেনা, এটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। অথবা যখন প্রথম প্রথম বাসায় স্যাটেলাইট চ্যানেল এসেছিল, কম পোষাক পড়া নায়িকাদের গান সবার সামনে দেখতোনা কেউ, চ্যানেল বদলে দিত। আর এখন এসব কোন ব্যাপারই না। সব বাসার দাদা দাদুরাও মনে হয় এখন ক্যাটরিনা, কারিনা, সাকিরাদের চেনে।

সময়ের সাথে সাথে কেবল দেখে আর শুনে যেতে হবে অনেককিছু। এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দিলেই হল। নিজের ভাল মন্দ বুঝে চললেই হল। আর যদি কেউ মশার মত রক্ত চুষতে আসে, তবে থাপ্পর দিয়ে পিষে দেবার ইচ্ছা আমরা যেন কেউ লুকিয়ে না ফেলি।

যাইহোক, ইখতামিন কিন্তু কেমন জানি একটা অদ্ভুত নাম!
২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৬
লেখক বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ মায়াবী রূপকথা :)

আপনি ঠিকই বলেছেন। সময়ের পরিবর্তনে অনেক কিছুরই পরিবর্তন ঘটে। অনেক কিছুই দেখতে হয়, শুনতে হয়। কিন্তু তাতে কান দিলে হয়না। নিজের ভালো-মন্দ নিজেকেই বুঝে চলতে হয়।


হাহা
কেনো কোনো!!!
আমার নামটা আপনার কাছে অদ্ভুত মনে হলো কেনো? জানতে পারি?

ভালো থাকুন :)
১৫. ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
মায়াবী রূপকথা বলেছেন: নামটা প্রাচীন মিসরের রাজা বাদশাদের মত। তুতেঙ্খামেন, আকুনামুন এই টাইপের। তবে আপনি ইফতেখার আমিনকে সংক্ষেপে ইখতামিন লিখেছেন নাকি কে জানে।
২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
লেখক বলেছেন:
কথাটা এই ব্লগের আরও কয়েকজন আমাকে বলেছিলেন। তাই কিছুটা ধারণা করেছিলাম B-)
আরও কিছু নাম আছে, তুতেনখাতেন, ইখনাতুন।
কেউ কেউ আবার বলেছিলেন, আমি ইখতেয়ার+আমিন কে সংক্ষেপে ইখতামিন লিখেছি।
ব্যাপারটা আসলেই একটু মজার হয়ে গেছে। :) :)

যাই হোক, আমি ইফতেখারও নই। ইখতেয়ারও নই। আমিনও নই।
আমি ইখতামিন :)


অঃটঃ যতদূর জানি, আমি ব্লগে আসার অনেক অনেক আগেই আপনি পোস্ট দেয়া বন্ধ করেছেন। :( আপনার নতুন কোনও পোস্ট কি আমরা পড়তে পারবো? আমাদের কি সেই সৌভাগ্য হবে? জাতি জানতে চায় 8-| :)

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন