বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৬

পূর্বপুরুষ

প্রবল বাতাসের বিপরীতে সদা দন্ডায়মান একটি দেয়াল। নির্বিকার।
ফ্যাকাসে আবরণ তার শরীরে, বয়স অনেক।
কতো নির্ঘুম রাত্রি পার করেছে এই দেয়াল, তার হিসেব ঈশ্বরই লিখে রেখেছেন।
অনেক দীর্ঘ এবং সরু।
শত ঝড়-ঝঞ্জায় অনেক জায়গায় তার আস্তর খসে পড়েছে
তবে একটি স্থানে আঁচড় লাগেনি এক চুলও।
কে জানে, কতো যুগ কেটে গেছে এইভাবে...
এক আলোক বর্ষ হবে তো!
দেয়ালের ঠিক মাঝখানে
মাঝ দেয়ালে একটা কাঠের ফ্রেম লেপ্টে আছে।
কারিগর তার সুনিপুণ হস্তে পরম মমতায়
ফ্রেমটা বসিয়েছে খুব যতনে।

ভেতরের চারিপাশে শুভ্র রঙের মাঠ,
আরেকটু গভীরে
কালো মার্বেল পাথরে নির্মিত একটি ছবি।
শৈল্পিক দক্ষতার পুরোটাই তাতে স্পষ্ট;
ছোট ছোট পাথর কণার একটাও খসে পড়েনি।
ছবিটি তাকিয়ে আছে
মর্মভেদী আর অপলক নেত্র তার--

যেনো সামনে একটা নদী
বহমান ধারায় এঁকে বেঁকে গেছে
দক্ষিণ থেকে উত্তরে, দূর থেকে বহু দূরে
অনেক অনেক দূরে।
অথবা সাগর, মহাসাগর
শত শত নদী-নালার মোহনা
সোনালী রোদের ঝাপটায় যেখানে স্বচ্ছ পানির ঝিলমিল খেলা।
অথবা
অসংখ্য বালি
একটার পাশে অন্যটা
একটার সাথে আরেকটা
মরুর বুকে চিকচিক মেলা।

কিংবা কোনও জনাকীর্ণ প্রান্তর;
জনতার সমুদ্রে জনতারই স্রোত
তাদের হস্ত মুষ্ঠিবদ্ধ। চোখ-কান খোলা.
তারা প্রস্তুত..
________ কোনও এক যুদ্ধের আগ মুহূর্তে
একটি বিকালের ছবি।

পিতা
তোমার দৃষ্টির সীমা কতোদূর...
আমার জন্মকাল গেলো
মৃত্যুকালেও দেখি, তুমি তাকিয়ে..
তোমার তন্দ্রা নেই
নিদ্রা ডাকেনা তার মায়ার বাঁধনে
তুমি অমর হয়ে থাকবে অনন্তকাল অবধি
থাকবে আমাদের স্মৃতিতে। আমাদের স্মরণকালে।

তুমি যে স্বপ্নের কারিগর
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ মানব
রয়েছো কোটি কোটি মানুষের অন্তরে।

১৫ আগস্ট, ২০১৪

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন